রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বীমা খাতের উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত টেকসই বিধিবিধানসমূহ প্রতিপালনের আহ্বান জানিয়েছেন।বীমা মেলা উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ‘বীমা মেলা-২০১৭’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ উপলক্ষে তিনি সকল বীমা গ্রাহক, মেলার আয়োজকসহ বীমা সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বীমা আধুনিক যুগের অন্যতম আর্থসামাজিক নিরাপত্তা সেবা ব্যবস্থা। এটি প্রত্যক্ষভাবে শিল্প, বাণিজ্য, ব্যবসা ও ব্যক্তিকে সম্ভাব্য আর্থিক ক্ষতির বিপরীতে সুবিধা প্রদান করার পাশাপাশি পরোক্ষভাবে দেশের আপামর জনসাধারণকে আর্থিকসুরক্ষা প্রদান করে থাকে। তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে বীমা শিল্পের অগ্রযাত্রা শুরু হয়।
একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের সুবিধার্থে ১৯৭২ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে দেশের সকল বীমা কোম্পানিসমূহকে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে দু’টি সরকারি কর্পোরেশনসহ মোট ৭৮টি বীমা কোম্পানি দেশের জনসাধারণের জীবন ও সম্পত্তির আর্থিক নিরাপত্তায় সেবা প্রদান করছে।
আবদুল হামিদ বলেন, প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ এবং দুর্ঘটনার ফলে সৃষ্ট জীবন ও সম্পদের অপ্রত্যাশিত ঝুঁকি মোকাবিলায় বীমা
শিল্পের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক প্রমিতমান অনুসরণ, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, পেশাদারিত্ব ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে বিমাকে সার্বিক উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগানো যেতে পারে।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন বীমার উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আয়োজিত বীমা মেলা একটি সেবামুখী বীমাখাত প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।