বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বে তামাকসেবী পুরুষের সংখ্যা কমছে । এটাকে বিশ্বব্যাপী তামাক মহামারীর গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন বলে ইঙ্গিত দিয়েছে সংস্থাটি।
২০০০ সালে বিশ্বে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ দশমিক ৩৯৭ বিলিয়ন থাকলেও ২০১৮ সালে তা কমে ১ দশমিক ৩৩৭ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ গত ১৮ বছরে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৬ কোটি।
সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই প্রতিবেদনে কীভাবে সরকারি উদ্যোগ মানুষকে তামাক থেকে রক্ষা, জীবনহানি ঠেকানো এবং তামাক সম্পর্কিত ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে; সেটিও দেখানো হয়েছে।
তামাক ব্যবহারের প্রবণতা সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০০০ থেকে ২০২৫ সালের বৈশ্বিক প্রতিবেদনের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, গত প্রায় দুই দশকে বিশ্বে তামাকের ব্যবহার হ্রাস পেয়েছে।
তবে তামাকের ব্যবহার নারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। ২০০০ সালে বিশ্বের ৩৪৬ মিলিয়ন নারী তামাকের ব্যবহার করলেও ২০১৮ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪৪ মিলিয়নে। অর্থাৎ এই সময়ে তামাকের নারী ব্যবহারকারী কমেছে প্রায় ১০ কোটি।
কিন্তু একই সময়ে তামাক ব্যবহারকারী পুরুষের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪ কোটি। ২০০০ সালে ১ দশমিক ০৫০ বিলিয়ন পুরুষ তামাক ব্যবহার করলেও ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ দশমিক ০৯৩ বিলিয়নে। এই সংখ্যা বিশ্বের বর্তমান মোট তামাক ব্যবহারকারীর (১ দশমিক ৩৩৭ বিলিয়ন) ৮২ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার পূর্বাভাষ বলছে, ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২০ সালে বিশ্বের নারী এবং পুরুষ তামাকসেবী কমবে প্রায় এক কোটি। ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বে তামাকসেবী কমবে ২ কোটি ৭০ লাখ। ২০১০ সালের পর থেকে বিশ্বের ৬০ শতাংশ দেশে তামাকের ব্যবহার কমেছে।
এই অর্জন সত্ত্বেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ তামাক ব্যবহার হ্রাসের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল তা পেছনেই রয়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সাম্প্রতিক অগ্রগতির এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যে তামাকের ব্যবহার কমবে ২৩ শতাংশ। এই মুহূর্তে বিশ্বের মাত্র ৩২টি দেশ ৩০ শতাংশ তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সঠিক পথে রয়েছে।