চীনের প্রাথমিক স্কুলে খুদে পড়ুয়াদের উপর হামলা। ছুরি দিয়ে তাদের কুপিয়েছে স্কুলেরই এক প্রাক্তন সাফাইকর্মী। হামলায় গুরুতর জখম হয়েছে প্রায় ২০ শিশু। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মাথায় আঘাত পেয়েছে তারা। স্থানীয় জুয়াংয়ু হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে। গ্রেফতার করা হয়েছে হামলাকারীকে।
চীনা সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, বেইজিংয়ের শিনচেং জেলার একটি প্রথম সারির প্রাথমিক স্কুলে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল সওয়া ১১টা নাগাদ আচমকাই ছোট ছেলেমেয়েগুলির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হামলাকারী।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে হাজির হন অভিভাবকরা। স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষ সবিস্তার কিছু জানায়নি। ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে না হাতুড়ি দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিভাবকদের কেউ কেউ দাবি করেছেন, স্কুলের একতলায় দ্বিতীয় শ্রেণীর পড়ুয়াদের ঘর। তাদের উপরই হামলা চালানো হয়েছে।
হামলাকারীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানিয়েছে, অস্থায়ী সাফাইকর্মী হিসাবে চাকরিতে যোগ দিয়েছিল সে। কিন্তু স্থায়ী পদের জন্য পরীক্ষাও দিয়েছিল। কিন্তু তাতে সফল হয়নি।
চীনে এই ধরনের নৃশংস ঘটনা সাধারণত কমই ঘটে। তবে গত কয়েক বছরে ছুরি, কুঠার এবং গাড়ি হামলার ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গিয়েছে সেখানে। যা থেকে নিস্তার পাচ্ছে না খুদে পড়ুয়ারাও। গত সপ্তাহেই এক কৃষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে চিন। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে পিংজিয়াংয়ের একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ঢুকে শিশুদের কুপিয়েছিল সে।