প্রচন্ড ঠান্ডায় বোরো বীজের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে থাকে। এ থেকে বোরো বীজতলা রক্ষা করার জন্য ছাই ছিটানোর পরামর্শ দিয়েছে জয়পুরহাটের স্থানীয় কৃষি বিভাগ। বিষয়টি সার্বিকভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন কৃষি মন্ত্রণালয় সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরে জয়পুরহাটের উপর দিয়ে শৈত প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শৈত প্রবাহের সঙ্গে হাড় কাপানো ঠান্ডায় জন জীবন বিপর্যস্ত হওয়ার পাশাপাশি বোরো বীজতলা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। বোরো ধানের চারা ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না। সে কারণে প্রচন্ড ঠান্ডায় বোরো বীজের চারা রক্ষায় ছাই ছিটানোর পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
এ ছাড়াও ছত্রাকনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। মাঠ পর্যায়ে কৃষক ও কৃষি বিভাগের কার্যক্রম সরেজমিন পর্যবেক্ষণের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মতিয়ার রহমান ও উপ-পরিচালক (সদর দফতর) কামাল উদ্দিন তালুকদার পরিদর্শন করেন। এ সময় জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুধেন্দ্র নাথ রায়, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলামসহ অন্যান্য কৃষি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জয়পুরহাট জেলায় এবার সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। জেলায় চলতি মৌসুমে ৬৮ হাজার ৫৭১ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।