গত কয়েক বছর ধরে বিট্রেনের গৃহহীন মানুষের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এতটুকু আশ্রয় না পেয়ে এ গৃহহীনদের অধিকাংশের জীবনযাপন এখন রাস্তায়। উন্নত রাষ্ট্র বললেই আমাদের চোখের সামনে যেসব দেশের ছবি ভেসে উঠবে তার প্রথম কাতারেই থাকবে ব্রিটেন। অথচ এই দেশটিতে তিন লাখের বেশি মানুষ রাস্তায় বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে।
আসছে ক্রিসমাসে উদযাপনে মাতবে ব্রিটেন। এরইমধ্যে শুরু হয়ে গেছে উৎসবের আমেজ। ক্রিসমাস উৎসব জুড়ে গৃহহীনদের সাময়িক একটা ব্যবস্থা করে দিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ। ছুটির সময়ে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকে। এ সময়ে নিরুপায় গৃহহীনদের খালি শ্রেণিকক্ষগুলোতে আশ্রয় দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ব্রিটেনে এখন তীব্র শীত। রাতে কখনো কখনো তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।
সামনে ৫ ডিগ্রির নিচেও নেমে যেতে পারে। ব্রিটেনের বৃহত্তর ম্যানচেস্টারের শহরের ফায়ার সার্ভিস গৃহহীনদের জন্য তাদের কমিউনিটি রুমগুলো খুলে দিচ্ছে। শহরটির মেয়র এন্ডি বার্নহ্যাম এ সংকট দূরীকরণে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে সম্প্রদায়ের নেতা, পুলিশ, বাড়ির মালিকদের ডেকেছেন।
বার্নহ্যাম বলেন, দেশের অনেকেই উৎসবের আমেজে মেতে আছেন। কিন্তু অনেকেই আছেন রাস্তায় ঘুমানো ছাড়া কোনো উপায় তাদের সামনে নেই। তারা খুবই একা, এটা (রাস্তায় ঘুমানো) তাদের জন্য বিপজ্জনক এবং একইসঙ্গে জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
ফায়ার সার্ভিসের কমিউনিটি রুমগুলোতে ঠাণ্ডা কিংবা গরম পানির ব্যবস্থা নেই। নেই শোচাগারের সুবিধাও। তারপরও এখানে গৃহহীনদের আশ্রয়ের বিষয়টিকে কাউন্টি ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র টনি হানটার জরুরি সহায়তা দেয়ার ‘স্বাভাবিক পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ম্যানচেস্টার ইভনিং নিউজকে তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে সব বৃহত্তর ম্যানচেস্টারের ফায়ার স্টেশনগুলো শহরের উদ্বাস্তুদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। ‘