নিজের ২০০তম ম্যাচ খেলতে নেমে সেঞ্চুরি করে স্মরণীয় করে রাখলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। যদিও ম্যাচ জেতা হল না ভারতের।
এদিন ভারতের রাখা ২৮১ রানের লক্ষ্যমাত্রাকে অতি সহজেই পার করে কিউয়িরা। ব্ল্যাক ক্যাপসদের হয়ে এদিনের রান তাড়ায় বড় অবদান রাখেন রস টেলর ও টম লাথাম। টেলর এদিন ৯৫ রান করেন। লাথাম অপরাজিত থাকেন ১০৩ রানে। এই দুজন চতুর্থ উইকেটে ২০০ রান যোগ করেন। মূলত, এদিন লাথাম-টলরের সামনে অসহায় দেখাচ্ছিল ভূবনেশ্বর-বুমরাহ-কুলদীপ-চাহালকে। দুই ব্যাটসম্যানই অত্যন্ত কর্তৃত্বের সঙ্গে সামলান ভারতীয় বোলারদের।
এর আগে, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম একদিনের ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৮০ রান করে ভারত।
২০০তম একদিনের ম্যাচে ১২১ রানের লড়াকু ইনিংস খেললেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে এটা তার ৩১তম শতরান। শতরান করার পথে ভাগ্যের সাহায্যও পান বিরাট। ২৯ রানের মাথায় তার লোপ্পা ক্যাচ ফেলে দেন স্যান্টনার। এরপর আর বিরাটকে থামাতে পারেননি না কিউয়ি বোলাররা।
ভারতের দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান এবং রোহিত শর্মা, কেউই বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। কারণ, ওই সময় ওয়াংখেড়েতে যেন গুলি ছুঁড়ছেন নিউজিল্যান্ডের বাঁ হাতি বোলার ট্রেন্ট বোল্ট। শিখর ধাওয়ান আউট হয়ে যান মাত্র ৯ রান করেই। রোহিত সাউদিকে পরপর দুটো ছক্কা হাঁকিয়েই আউট হয়ে যান ২০ রান করে।
মিডল অর্ডারে কেদার যাদবও টেকেননি এদিন। মাত্র ১২ রানেই আউট হয়ে যান। দীর্ঘদিন পরে দলে ফিরে ৪৭ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন দীনেশ কার্তিক। মহেন্দ্র সিং ধোনিও বিশেষ রান পাননি। ৪২ বলে ২৫ রান করে বোল্টের বলেই আউট হন তিনি। হার্দিক পাণ্ডিয়া করেন ১৬ রান। কিউয়ি বোলারদের মধ্যে বোল্ট একাই পেয়েছেন ৪টি উইকেট। তিনটে উইকেট পেয়েছেন সাউদি। একটি উইকেট পেয়েছন স্যান্টনার।