ফলের রাজা আম।বাংলাদেশ এবং ভারত এ যে প্রজাতির আম চাষ হয় তার বৈজ্ঞানিক নাম Mangifera indica. এটি Anacardiaceae পরিবার এর সদস্য। তবে পৃথিবীতে প্রায় ৩৫ প্রজাতির আম আছে।
আমের বিভিন্ন জাতের মাঝে আমরা মূলত ফজলি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ক্ষিরসাপাত/হীমসাগর, আম্রপালি, মল্লিকা,আড়া জাম, কাচামিঠা, সুবর্নরেখা, মিশ্রিদানা, নিলাম্বরী, কালীভোগ, অরুনা, আলফানসো, বারোমাসি, তোতাপূরী, কারাবাউ, কেঊই সাউই, গোপাল খাস, কেন্ট, সূর্যপূরী, পাহুতান, ত্রিফলা ইত্যাদির দেখা পাই।
এখন গ্রীষ্মকাল শুরু হয়েছে । এখন থেকেই বাজারে উঠতে শুরু করেছে গ্রীষ্মকালীন এই ফল। আমাদের দেশে মধু মাসের আগমরে সাথে সাথে আম ও নানা ধরনের অন্যান্য মৌসুমি ফলের সুঘ্রান ছড়িয়ে পরেছে দেশের চারদিকে । তবে এইসব ফল কতটুকু স্বাস্থ্য সম্মত তা জানা ধরকার আছে । এই ধরনের ফলগুলোতে বহু পরিমাণে ব্যববহৃত হচ্ছে ফরমালিন । আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ফলের রাজা আম ।
আর এই ফরমালিন যুক্ত আম সহ নানান ফল খেয়ে আমাদেরকে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ রোগের সাথে লড়াই করতে হয় । তাই ফরমালিন যুক্ত ফলমূলের বাজার জাত করা রোধ না করতে পারলে ফরমালিন মুক্ত ফল পাওয়া দুষ্কর ব্যপার হয়ে দাড়াবে । তাই একটু সতর্ক হলেই খুব সহজেই চিনে নেয়া যাবে ফরমালিনমুক্ত আম ।
১)প্রথমেই লক্ষ্য করুন যে আমের গায়ে মাছি বসছে কিনা। কেননা ফরমালিন যুক্ত আমে মাছি বসবে না।
২)আম গাছে থাকা অবস্থায়, বা গাছ পাকা আম হলে লক্ষ্য করে দেখবেন যে আমের শরীরে এক রকম সাদাটে ভাব থাকে। কিন্তু ফরমালিন বা অন্য রাসায়নিকে চুবানো আম হবে ঝকঝকে সুন্দর।
৩)কারবাইড বা অন্য কিছু দিয়ে পাকানো আমের শরীর হয় মোলায়েম ও দাগহীন। কেননা আম গুলো কাঁচা অবস্থাতেই পেড়ে ফেলে ওষুধ দিয়ে পাকানো হয়। গাছ পাকা আমের ত্বকে দাগ পড়বেই।
৪)গাছপাকা আমের ত্বকের রঙে ভিন্নতা থাকবে। গোঁড়ার দিকে গাঢ় রঙ হবে, সেটাই স্বাভাবিক। কারবাইড দেয়া আমের আগাগোড়া হলদেটে হয়ে যায়, কখনো কখনো বেশি দেয়া হলে সাদাটেও হয়ে যায়।
৫) হিমসাগর ছাড়াও আরও নানান জাতের আম আছে যারা পাকলেও সবুজ থাকে, কিন্তু অত্যন্ত মিষ্টি হয়। ওষুধ দিয়ে পাকানো হলে আমের শরীর হয় মসৃণ ও সুন্দর।
৬) আম নাকের কাছে নিয়ে ভালো করে শুঁকে কিনুন। গাছ পাকা আম হলে অবশ্যই বোটার কাছে ঘ্রাণ থাকবে। ওষুধ দেয়া আম হলে কোনও গন্ধ থাকবে না, কিংবা বিচ্ছিরি বাজে গন্ধ থাকবে।
৭) আম মুখে দেয়ার পর যদি দেখেন যে কোনও সৌরভ নেই, কিংবা আমে টক/ মিষ্টি কোনও স্বাদই নেই, বুঝবেন যে আমে ওষুধ দেয়া।
৮) আম কেনা হলে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এমন কোথাও রাখুন যেখানে বাতাস চলাচল করে না। গাছ পাকা আম হলে গন্ধে মৌ মৌ করে চারপাশ। ওষুধ দেয়া আমে এই মিষ্টি গন্ধ হবেই না।