পিরোজপুরের কাউখালীতে কৃষকদের মধ্যে ভাসমান বীজতলা তৈরিতে আগ্রহ বাড়ছে।
কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় বন্যা, বৃষ্টি ও পানি এবং অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে জমিতে জলাবদ্ধতার কারণে কাউখালীর বন্যাপ্লাবিত উপজেলায় কৃষকেরা কলাগাছের ভেলায় রোপা আমনের ‘ভাসমান’ বীজতলা করেছেন।
একটা সময় ছিলো কাউখালী উপজেলায় অনেক আবাদি জমি পতিত ছিলো। এখন আর কোনো জমি পতিত থাকে না বা কৃষকরা অলস সময় কাটান না। ক্ষেত পোকা মাকড়ের হাত থেকে বাঁচতে কীটনাশকের পরিবর্তে ব্যবহার হচ্ছে জৈব সার-গাছের ডাল বা কঞ্চি দিয়ে পার্চিং লাগিয়ে পোকার আক্রমণ থেকে ক্ষেত রাখছেন সুস্থ সবল। তৈরি হচ্ছে ভাসমান ধান বীজ তলা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অপূর্ব লাল সরকার জানান, তৈরিকৃত ভেলায় প্রতি বর্গমিটারে ৮০-১০০ গ্রাম অঙ্কুরিত বীজ ফেলতে হয়। পানির উপর ভাসমান থাকার কারণে এরূপ বীজতলায় পানি সেচের দরকার হয় না। বীজ বপনের ২৫-৩০ দিন পরেই চারা রোপনের উপযোগী হয়ে যায়। এভাবে তৈরিকৃত এক বর্গমিটার বীজতলার চারা দিয়ে ২০ বর্গমিটার পর্যন্ত রোপন করা যায় অর্থ্যাৎ এক শতাংশ জমির চারা দ্বারা কমপক্ষে ২০ শতাংশ জমি রোপণ করা যায়।