ডিএমপি নিউজ: মগবাজার এলাকায় গত ২৩ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ ভোরে ডাকাতের কবলে পরেন ডাঃ সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুই ভারতীয় শিক্ষার্থী। এ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ৭ ডাকাতকে লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারসহ গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা রমনা বিভাগের একটি টিম।
গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ ফখরুল ইসলাম ওরফে ফকু, মোঃ আলমাস, মোঃ মামুন, মো আব্দুল্লাহ আল ইউসুফ আহম্মেদ ওরফে আসিক, মোঃ শাহিন, মোঃ বাবু ও মোঃ শফিকুল ইসলাম।
গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত হতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১ টি প্রাইভেটকার, ২টি চাপাতি, লুন্ঠিত ১ টি ল্যাপটপ ও লুণ্ঠিত ১ টি মোবাইলসহ মোট ১৮ টি মোবাইল, লুন্ঠিত ৪৩,৯৫০ ভারতীয় রুপি ও নগদ ৩,০০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি ২০২২) ধারাবাহিক অভিযানে রাজধানী ঢাকা ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে গোয়েন্দা রমনা জোনাল টিম।
আজ শনিবার (২৯ জানুয়ারি ২০২২) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন এন্ড ডিবি-দক্ষিণ) মোঃ মাহবুব আলম, বিপিএম(সেবা), পিপিএম (বার)।
ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বলেন, গত ২৩ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে ডাঃ সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারতীয় শিক্ষার্থী শাহীল আহমেদ ও আসিফ ইকবাল তাদের বর্তমান হোস্টেল ৭৭, আউটার সার্কুলার রোড, মগবাজার ওয়্যারলেস, রমনা হতে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। তারা ভোর অনুমান ০৫:১০টা হতে ০৫:১৫ টার মধ্যে আউটার সার্কুলার রোডের গ্রামীণ চেক শো-রুম এর সামনে পৌঁছালে একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকার তাদের গতিরোধ করে। উক্ত প্রাইভেটকার হতে অজ্ঞাতনামা মুখোশধারী ০৪ জন লোক তাদের ঘিরে ফেলে। তাদের মধ্যে থেকে ২ জন বাদী ও তার সহপাঠির গলায় চাপাতি ঠেকিয়ে ধরে এবং অপর ২ জন তাদের সাথে থাকা ১টি ট্রলি ব্যাগ, ১টি হ্যান্ডব্যাগ, ১টি ল্যাপটপ, ২টি মোবাইল ফোন, ৫৭০০০ ভারতীয় রুপি, নগদ ৭৬০০ বাংলাদেশি টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সংক্রান্তে গত ২৩/০১/২০২২ তারিখ রমনা মডেল থানায় একটি মামলা রুজু হয়। মামলাটি থানা পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা রমনা বিভাগ।
তিনি বলেন, মামলাটি তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেফতারকৃতদের অবস্থান শনাক্ত করে গত ২৮/০১/২০২২ খ্রিঃ তারিখে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ও ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৭ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ডাকাতির ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
গোয়েন্দা রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব এইচ এম আজিমুল হক এর নির্দেশনায় রমনা জোনাল টিমের টিম লিডার মিশু বিশ্বাস, পিপিএম এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।