নারী শিক্ষা আন্দোলনে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার পাকিস্তানের আলোচিত মালালা ইউসুফজাই। কানাডান সরকার সর্বকনিষ্ঠ নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাইকে কানাডার অবৈতনিক নাগরিকত্ব দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন। ২০১৪ সালে মালালাকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণা দেয় কানাডা। বুধবার বর্তমান প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডো তার পূর্বসূরীর ঘোষণা বাস্তবায়ন করেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে। বিবিসি লিখেছে, সমাজসেবা ও মানবাধিকারে অবদান রাখার জন্য এ পুরষ্কার দেয় কানাডা সরকার।
২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পার মালালাকে নাগরিকত্ব দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সোমবার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানের নারী অধিকার কর্মী মালালা ১২ এপ্রিল কানাডা পৌঁছে পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখবেন এবং এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানসূচক কানাডীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করবেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বুধবার অটোয়ায় মালালাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এ সময় অভিবাসন মন্ত্রীসহ অন্য মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। নাগরিকত্ব পাওয়ার পর মালালা কানাডার পার্লামেন্টে ১৫ মিনিট বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, মালালা ছাড়াও আরো পাঁচ ব্যক্তিকে কানাডা অবৈতনিক নাগরিকত্ব দিয়েছে। তারা হলেন— রাউল ইউলেনবার্গ, নেলসন ম্যান্ডেলা, দালাইলামা, অং সান সু চি এবং আগা খান। এ সম্মানসূচক নাগরিকত্বে পাসপোর্ট পাওয়া বা ভোটাধিকারের কোনো সুযোগ নেই।
মেয়েদের শিক্ষাগ্রহণ এবং স্কুলে যাওয়ার অধিকারের পক্ষে প্রকাশ্যে কথা বলায় ১৫ বছর বয়সে মালালা ইউসুফজাই তালেবান হামলাকারীদের গুলির শিকার হন। ওই যাত্রায় বেঁচে যাওয়ার পর থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন নারীশিক্ষা এবং নারী অধিকারের আন্তর্জাতিক মুখপাত্র। এসব কাজের স্বীকৃতি হিসেবেই মালালাকে ২০১৪ সালে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়।