মুক্তামনির কাছে কেন এলেন আর খবর পেলেন কিভাবে জানতে চাইলে মুশফিক বলেন, ‘অনলাইনের মাধ্যমে মুক্তামনির কথা জেনেছি। ওর অবস্থা দেখে আমার খুব কষ্ট হয়েছে। এতটুকু একটা মেয়েকে তার দেহের চেয়ে ভারী বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছে।’
হাসপাতালে আসার আগে মুক্তামনির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন মুশফিক। এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ফোনে কথা বলার পর ওকে দেখতে ইচ্ছে করেছে। মুক্তামনির বাবার (ইব্রাহীম হোসেন) সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছি। তাদের বলেছিলাম হাসপাতালে আসবো। তাই এসেছি।’
মুক্তামনির কেবিনে ঢুকে তার মাথায় হাত বুলিয়ে মুশফিক বলেছেন, ‘তুমি চিন্তা করবে না। পুরো দেশ তোমার সঙ্গে আছে। তুমি সুস্থ হয়ে যাবে। আমার সঙ্গে যার দেখা হয় তাকেই তোমার কথা বলি, তোমার জন্য দোয়া চাই।’ তখন মুশফিককে মুক্তামনি বলেছে, ‘আপনি ও আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।’
গত ১২ জুলাই ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তির পর প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা চারটি রোগের কথা ধারণা করলেও অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা গেছে লিমফেটিক ম্যালফরমেশন রোগে ভুগছে মুক্তামনি। এটি একটি জন্মগত রোগ (কনজিনেটাল ডিজিস)। এর বিশেষত্ব হচ্ছে জন্মের পরপরই কিছু ক্ষেত্রে এর প্রকাশ পায় কারও ক্ষেত্রে, আবার কারও ক্ষেত্রে পায় না।
তবে মুক্তামনি এতদিন অবহেলা আর অপচিকিৎসার শিকার হয়েছে বলে পরিবার এবং চিকিৎসকদের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে। অবশ্য দেরিতে হলেও চিকিৎসকরা এখন বলছেন, তারা আশাবাদী। দীর্ঘমেয়াদী এক চিকিৎসার পরে তার সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাতক্ষীরার মেয়েটির চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।