ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত ও চট্টগ্রামে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজারকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামীকাল সন্ধ্যার পর সাতক্ষীরা-খুলনা অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। যার কবলে পড়বে বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালীসহ উপকুলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানিয়েছেন, ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসেরও আশঙ্কা রয়েছে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগর। শুরু হয়েছে বৃষ্টিও। ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিলো। এটি আরো ঘনিভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার, যা ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
পূর্বাভাস বলছে, শনিবার সন্ধ্যার পর সাতক্ষীরা-খুলনা অঞ্চলে আঘাত করতে পারে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। এতে কম-বেশি ঝড়ের কবলে পড়বে বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুরসহ উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা। আশঙ্কা আছে ৫-৭ ফুট জলোচ্ছ্বাসেরও।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, উপকূলের ১৩ জেলায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি। জেলায় জেলায় সভা করে দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায়; সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছেন কয়েকশ পর্যটক।