নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক
পুরো বিশ্বে যেসব দেশে মূল্যবান ধাতু সোনার ব্যাপক মজুদ রয়েছে, তাদের মধ্যে এক নম্বর তালিকায় আছে যুক্তরাষ্ট্রের নাম। ২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী, দেশটির সোনার ভল্টে পাঁচ লাখ আট হাজার সোনার বার রয়েছে, যার ওজন সাড়ে ছয় হাজার টনেরও বেশি। আর এ কারণেই নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের ভল্টটি নিরাপত্তার দিক থেকে প্রচণ্ডভাবে সুরক্ষিত। তবে এই সোনার মালিক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক নয়। তারা শুধু ভল্টে সোনা রাখার দায়িত্ব পালন করে। এখানকার স্বর্ণের বারগুলো স্থানান্তরের জন্য কোনো মানুষকে ব্যবহার না করে রোবট ব্যবহার করা হয়। অনুমতি ছাড়া এখানে কেউই প্রবেশ করতে পারে না। এখানকার নিরাপত্তাব্যবস্থা এতই নির্ভরযোগ্য যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সরকারও এখানে স্বর্ণ রাখে।
রাস্তা থেকে ৮০ ফুট নিচে সুরক্ষিত অবস্থায় আছে ভল্টটি। মূল ভল্টের মধ্যেও রয়েছে ১২২টি ছোট ছোট ভল্ট। প্রত্যেকটি সোনার বারকে আলাদাভাবে সংরক্ষণ করা হয় একটি বার কোড অনুযায়ী। যাতে করে একজনের সঙ্গে আরেকজনের সোনার বার মিলে না যায়। এই ভল্ট ঘিরে সারাক্ষণ পাহারা দেয় আর্মড ফেডারেল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স। ভল্টে প্রবেশ করতে হলে যে দরজা রয়েছে, তা ৯ ফুট উঁচু। ১৪০ টন স্টিল ও কংক্রিট দিয়ে প্রবেশের এই জায়গাটি তৈরি করা হয়েছে বিশেষভাবে। অনেকটা ওয়াইনের বোতলের কর্কের মতো এয়ারটাইট অবস্থা বিরাজ করে সেখানে। যদি কেউ চুরি করার উদ্দেশ্যে ভেতরে প্রবেশ করেও ফেলে, তবে মাত্র ৭২ ঘণ্টা সে সেখানে বাঁচতে পারবে। কারণ মূল দরজার পরে ভল্টে যেতে রয়েছে আরও দরজা, যেগুলো পার হওয়া প্রায় অসম্ভব। সেখানে রয়েছে বিশেষ ধরনের এক কম্বিনেশন লক। যেই লকের সঠিক নম্বর কেউ জানেন না। মোট তিনজনের কাছে আলাদাভাবে দেওয়া থাকে। কখনো যদি সোনা ভল্টের ভেতরে প্রবেশ করাতে হয় কিংবা বাইরে বের করতে হয়, সেই তিনজনকে সেখানে উপস্থিত থাকতে হয়।
সালবার্দ গ্লোবাল সিড ভল্ট
পৃথিবীর মূল্যবান যত বীজ রয়েছে, তা সংরক্ষণ করে রাখার জন্য মার্কিন কৃষিবিদ ক্যারি ফাওলারের উদ্যোগে নরওয়েতে তৈরি করা হয়েছে গ্লোবাল সিড ভল্ট। এই সংরক্ষণাগারটি বিভিন্ন জাতের ৪০ লাখ ফসলের আড়াই শ কোটি বীজ সংরক্ষণ করতে সক্ষম। বর্তমানে ১০ লাখেরও বেশি ফসলের বীজ রয়েছে সেখানে। খরা, বন্যা কিংবা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খাদ্যশস্য যাতে কখনো হুমকির মুখে না পড়ে সে কারণেই নেওয়া হয়েছে এই অভিনব উদ্যোগ।
এবার আসি এই ভল্টের নিরাপত্তার কথায়। নরওয়ের মূল ভূখণ্ড থেকে জাহাজে করে প্রায় সাড়ে ৯০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে যেতে হবে স্পিটসবার্গেন দ্বীপের সালবার্দে। সেখানেই পাহাড়ের প্রায় ১২০ মিটার ভেতরে আছে এই ভল্ট। যেহেতু তুষার আবৃত পাহাড়, তাই এর আশপাশ এবং ভেতরের পরিবেশ কী পরিমাণ ঠান্ডা হবে, সেটি চিন্তা নিশ্চয়ই করতে পারছেন।
ভল্টের ভেতরের তাপমাত্রা মাইনাস ১৮-এর নিচে। বছরে মোট দুবার এই ভল্ট খোলা হয়। নানা ধরনের ফসল যেমন ধান, গম, ভুট্টাসহ নানা ধরনের ফলের বীজ যেমন আম, লিচু, তরমুজসহ নানা ফলের বীজ ভল্টের ভেতর সারি সারি করে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। যদিও আগে বীজ রাখা হতো কাচের টিউবে।
পুরো ভল্টে রয়েছে মোট তিনটি চেম্বার। তিনটির একটিতে বীজ সংরক্ষণ চলছে। বাকি দুটো এখনো খালি রয়েছে। নিরাপত্তার কারণে ভল্টটি তৈরি করা হয়েছে সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১৩০ মিটার ওপরে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মেরু অঞ্চলের সব বরফ যদি গলেও যায়, তারপরও এই সংরক্ষণাগারটি নিরাপদ থাকবে। এই ভল্ট এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যেন যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগেই এটি অক্ষত থাকে। নিরাপত্তার কারণে এই ভল্টে বিজ্ঞানী ছাড়া আর কেউই প্রবেশ করতে পারে না।
ফোর্ট নক্স ভল্ট
সারি সারি করে রাখা সোনার বার। মাটি থেকে ছাদ পর্যন্ত কোথাও সোনা ছাড়া আর কিছু নেই। জায়গাটা এতই সুরক্ষিত যে সাধারণ মানুষের প্রবেশের কোনো ধরনের সুযোগ নেই। জায়গাটির অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের ফোর্ট নক্স আর্মি পোস্টে। জায়গার সঙ্গে মিলিয়ে এই জায়গার নাম রাখা হয়েছে ফোর্ট নক্স ভল্ট। ২০১৮ সালের হিসাব অনুযায়ী, এই ভল্টে রয়েছে ১৪৭ মিলিয়ন আউন্সেরও বেশি স্বর্ণ। এই ভল্টে শুধু সোনাই নয়, রয়েছে ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দলিলও, যা এখনো ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে। যেমন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার দলিল, ম্যাগনাকার্টা, বিল অব রাইটসের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাগজ।
১৯৩৫ সালে মার্কিন সরকার সোনা সংরক্ষণের জন্য গড়ে তোলে এ ভল্ট। সে সময়ই এটি তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। এত সোনা রয়েছে, যেখানে তার সুরক্ষা ব্যবস্থা কেমন হবে তা আর নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না। এই ভল্টের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত রয়েছে দেশটির মিন্ট পুলিশ বাহিনী ও সেনাবাহিনী। ভল্টের চারদিকে রয়েছে উঁচু ও বিদ্যুতায়িত কাঁটাতারের বেড়া। রয়েছে অ্যালার্ম, ভিডিও ক্যামেরা, মাইন ফিল্ডও। এ ভবনের দেয়াল তৈরি করা হয়েছে চার ফুট পুরু গ্রানাইট এবং ৭৫০ টন ইস্পাত দিয়ে। যার ফলে এটা বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়াও সম্ভব না। ভেতরে যে মূল ভল্ট রয়েছে তার দরজা প্রায় দুই ফুট পুরু। দরজায় রয়েছে লক কম্বিনেশন সিস্টেম। আর এই লকের পাসওয়ার্ড কোনো একজনের কাছে থাকে না। কয়েকজন ব্যক্তির কাছে একটু একটু অংশ থাকে। তাই দরজা খুলতে হলে সবাইকে হাজির থাকতে হয়। তাই এটা তো খুব স্বাভাবিকভাবেই বলে দেওয়া সম্ভব, এখানে অনুমতি ছাড়া কোনো মানুষ প্রবেশ করতে পারবে না।
কেএফসি ভল্ট
কেন্টাকি ফ্রায়েড চিকেন বা কেএফসির কথা কে না জানে। বর্তমান বিশ্বের ১৩৬টি দেশে কেএফসির ২২ হাজার ৬২১টি শাখা রয়েছে। শুধু ফ্রায়েড চিকেন দিয়ে যে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হওয়া যায়, তার জ্বলন্ত উদাহরণ কেএফসির প্রতিষ্ঠাতা কর্নেল হারল্যান্ড ডেভিড স্যান্ডার্স। ১৯৬৪ সালে স্যান্ডার্স কেএফসিকে দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে এক আমেরিকান কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেন। কোম্পানি বিক্রি করলেও তার ফ্রায়েড চিকেনের গোপন রেসিপিটি আসলে কি সেটা কেউই জানে না। ২০০৯ সালে রেসিপিটি কেন্টাকিতে কেএফসির হেডকোয়ার্টারে সুরক্ষিত এক ভল্টে স্থানান্তরিত করা হয়। যত দিন ভল্টটি বানানো হচ্ছিল, তত দিন সেই রেসিপি এক অজানা জায়গায় লুকিয়ে রাখা ছিল। কোথায় ছিল সেই কথা হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া কেউই জানত না। আরও মজার ব্যাপার হচ্ছে এই এই রেসিপি যখন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া হতো, তখন সুটকেসের সঙ্গে হাতের মধ্যে হ্যান্ডকাফ লাগানো থাকত। যাতে কেউ টান দিলে চলে না যায়। বর্তমানে চব্বিশ ঘণ্টা ক্যামেরা, মোশন ডিটেক্টর আর নিরাপত্তা প্রহরীদের নজরে থাকে এই সংরক্ষণাগারটি। পুরু কনক্রিটের স্লাব দিয়ে ভল্টটি ঘিরে রাখা হয়েছে। পুরো সিকিউরিটি সিস্টেমটির সঙ্গে সংযোগ আছে ব্যাকআপ জেনারেটরের, যেন বিদ্যুৎ গেলেও নিরাপত্তার কোনো ত্রুটি দেখা না দেয়। বর্তমানে এই রেসিপিতে হাত দেওয়ার অধিকার মাত্র দুজন ব্যক্তির আছে। কিন্তু সেই দুজনকে তার পরিচয় নিয়েও আছে ধোঁয়াশা।
গ্রানাইট মাউন্টেন রেকর্ডস ভল্ট
সুরক্ষিত ভল্ট যে সব সময় সোনার কারণেই হতে হবেÑ এমন কোনো কথা নেই। ঐতিহাসিক কারণে, ধর্মীয় কারণে গোপনীয়তার জন্যও অনেক সময় কিছু ভল্ট সুরক্ষিত হয়ে থাকে। যার মধ্যে মরমনের গ্রানাইট মাউন্টেন রেকর্ডস ভল্ট অন্যতম। তবে এটা মরমন ভল্ট নামে বেশি পরিচিত।
মরমন ধর্মের প্রতিষ্ঠাতার নাম জোসেফ স্মিথ। তিনি ১৮৪৪ থেকে ১৯০৫ সাল পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। সহচররা তাকে ‘নবী’ হিসেবে গণ্য করতেন। পাহাড়ের নিচের এই ভল্টে সুরক্ষিত রয়েছে মরমনদের বংশ বৃত্তান্ত তালিকা, নৃ-তাত্ত্বিক নানা বিষয়ের ঐতিহাসিক দলিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লিটল কটনউড ক্যানিয়নে পাথরের ৬০০ ফুট গভীরে তৈরি করা হয়েছে সুরক্ষিত এই ভল্ট। এই ভল্ট এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে ডিনামাইট মারলেও এর কোনো ক্ষতি না হয়।
চার্চ অব জেসাস ক্রাইস্ট অব লেটার ডে সেইন্টস হলো এই ভল্টের মালিক। এই চার্চটি ১০০ বছর ধরে বিশে^র সব দেশ থেকে পাওয়া মরমনদের বংশানুক্রমিক তথ্য সংগ্রহ করেছে। এটা এখন পরিণত হয়েছে বিশাল এক সংগ্রহশালায়। এর রয়েছে নিজস্ব এক ওয়েবসাইট। যে কেউ এই ওয়েবসাইট থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নিতে পারবে।
এই ভল্ট যেহেতু পাহাড়ে, তাই এর প্রবেশমুখও পাহাড় খোদাই করে। কংক্রিট ও স্টিলের তৈরি গেট দিয়ে প্রবেশের পর পার হতে হবে সাড়ে সাত শ ফুট লম্বা টানেল। তারপর গিয়ে পাওয়া যাবে মূল ভল্টে প্রবেশের গেট।
ভল্টের ভেতরে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির জিনিসপত্র। তা ছাড়া ভল্টের ভেতরেই রয়েছে অফিস। সেখান থেকেই প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করা হয়। এর নিরাপত্তার জন্য রয়েছে প্রহরী, ক্যামেরা ও অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার। সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, মরমন চার্চের সদস্যরা পর্যন্ত এর ভেতরে ঢোকার অনুমতি পায় না!
কোকাকোলা রেসিপি ভল্ট
কোকাকোলা! কে না খেয়েছে এই কোমলপানীয়? ১২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশে^ও তুমুল জনপ্রিয় একটি পানীয় হলো কোকাকোলা। ভরপেট খাওয়ার পর কয়েক চুমুক কোকাকোলা না হলে অনেকের খাওয়াটাই যেন পরিপূর্ণ হয় না। পৃথিবীতে গোপন যত রেসিপি রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো কোকাকোলার রেসিপি। আর এই রেসিপিও রয়েছে নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো এক সুরক্ষিত ভল্টে। কোকাকোলার রেসিপিটি তৈরি করেন জন স্মিথ পেমবার্টন। পরে পেমবার্টনের কাছ থেকে রেসিপিসহ সম্পূর্ণ স্বত্ব কিনে নেন এজি ক্যান্ডেলার। যুগ যুগ ধরে অতি বিশ^স্ত কোনো লোক ছাড়া কোকাকোলার এই রেসিপিটি সম্পর্কে কেউ জানত না। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে ৬ দশমিক ৬ ফুট মোটা ধাতব দিতে একটি ভল্ট বানানো হয়, সেখানেই সুরক্ষিত রয়েছে এই রেসিপি। সেখানেই কোকাকোলার রেসিপি নিয়ে কাজ করা হয়। এখানে শত চেষ্টা করলেও রেসিপি-সংশ্লিষ্ট লোক ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারে না। নিরাপত্তার জন্য লেজার লাইট সিস্টেম এবং ২৪ ঘণ্টার সার্বক্ষণিক গোপন ক্যামেরা রয়েছে। হাত, চোখের মণি ও মুখের অবয়ব পর্যালোচনা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের অনুমতি পেলেই তবে দরজা খুলবে।
যারা তৈরি করেন তারাও ঠিকভাবে জানেন না এই রেসিপি। কারণ সবার কাছে রেসিপির আলাদা অংশ রয়েছে। তারা কেবল সেই জিনিসগুলো একসঙ্গে মেলালেই তৈরি হবে কোকাকোলা। তা ছাড়া এই কোমলপানীয় বানাতে যে উপাদান ব্যবহার করা হয়, বলা হয়ে থাকে সেগুলোর কোনো বোতলে সেই উপাদানগুলোর নাম লেখা থাকে না। লেবেল না থাকার কারণে কেউই জানেন না আসলে তারা কী দিচ্ছেন। পরিমাণ অনুযায়ী সবাই শুধু রেসিপি তৈরির কাজ করে যান।
যারা এই রেসিপি তৈরির কাজ করেন, তাদের জন্যও রয়েছে কিছু নির্দেশনা। রেসিপির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের একসঙ্গে বসবাস এবং চলাফেরা নিষিদ্ধ।
বেনহফ ও উইকিলিকস
বেনহফ সুইডেনের প্রথম দিককার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাটির সদর দপ্তর স্টকহোমে। আর উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠা ২০০৬ সালে। এরপর থেকে হাজার হাজার গোপন নথিপত্র ফাঁস করেছে উইকিলিকস। যুদ্ধ থেকে থেকে শুরু করে, জাতীয় নিরাপত্তা, সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি কিছুই বাদ যায়নি। কিন্তু জানার ইচ্ছা হয় না উইকিলিকস আসলে এত তথ্য কোথায় রাখে?
আসলে এই তথ্যগুলো সুরক্ষিত রয়েছে সুইডেনের একসময়ের একটি নিউক্লিয়ার বাংকারে, যা এখন বেনহফের গোপন ডেটা সেন্টার। ভেতরের চেহারা দেখলে মনে হবে যেন কোনো জেমস বন্ড সিরিজের সিনেমা দেখছেন। এর আগে এই জায়গাটি ছিল পাইওনিয়ার সিভিল ডিফেন্স সেন্টার। পরে ২০০৮ সালে এটি তথ্যকেন্দ্র হিসেবে চালু হয়। জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিশেষ কম্পিউটারটিও বিশেষ যত্নে রয়েছে এই বেনহফের ভল্টে। মাটির ১১৫ ফুট নিচে বিশেষভাবে তৈরি করা এই ভল্ট নিউক্লিয়ার বোমার আঘাতেও থাকবে সুরক্ষিত। এর একেকটি দরজা দেড় ফুট স্টিলের তৈরি। আর এই ভল্টে থাকা জিনিসপত্র যে সুরক্ষিত থাকবে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই অফিসে রয়েছে ভাসমান সভাকক্ষ এবং আর পুরো কক্ষটিই দেখতে অনেকটা চাঁদের মতো। কোনো কারণে যদি বিদ্যুতের সমস্যা দেখা দেয়, তবে জেনারেটর দিয়ে চলবে টানা সাত দিন। খবর দেশ রুপান্তর।