লাখ লাখ মার্কিন কূটনৈতিক নথি ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে হইচই ফেলে দেওয়া ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাজ্য অন্য কোনো দেশে বহিঃসমর্পন না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছে ইকুয়েডর। চলতি বছরের আগস্টে কুইটোর জিজ্ঞাসার জবাবে লিখিত উত্তরে লন্ডন এ কথা জানায়, বৃহস্পতিবার ইকুয়েডরের সরকারি কৌঁসুলি ইনিগো সালভাদর সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন।
সুইডেনে বহিঃসমর্পন এড়াতে ২০১২ সালে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন অ্যাসাঞ্জ। গত ছয় বছর ধরে সেখানেই বাস এ ‘হুইসেলব্লোয়ারের’। জামিনের আবেদনের শর্ত লঙ্ঘন করায় তার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। যুক্তরাষ্ট্রে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ আছে কিনা তা স্পষ্ট না হলেও অ্যাসাঞ্জের ভয়, লন্ডন তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিতে পারে। যুক্তরাজ্য ইকুয়েডরকে জানিয়েছে, তারা কোনো দেশ থেকেই অ্যাসাঞ্জকে বহিঃসমর্পণের অনুরোধ পাননি। জামিনের যে অভিযোগে উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতার নামে পরোয়ানা আছে তাতেও সর্বোচ্চ ছয় মাসের আটকাদেশ মিলতে পারে।
অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীর কাছে যুক্তরাজ্যের এ প্রতিক্রিয়ার কথা জানানো হয়েছে, বলেন সালভাদর। এরপরও অ্যাসাঞ্জ যুক্তরাজ্যের ইকুয়েডর দূতাবাসে থাকতে চাইলে সেক্ষেত্রে নতুন শর্ত আরোপ করা হবে। “অ্যাসাঞ্জকে হয় এই নিশ্চয়তা নিয়ে যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষের সামনে হাজির হতে হবে, নতুবা ইকুয়েডর দূতাবাসে থাকতে পারে। যদিও তাকে ছয় বছর ধরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, এরপরও সমাধানের কোনো লক্ষণ না দেখলে আমরা সুনির্দিষ্ট কিছু বিধান আরোপ করবো,” এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন আদালতে ইকুয়েডর সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী এ কৌঁসুলি।
বহিঃসমর্পণ না করার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতি এখনো বহাল আছে কিনা রয়টার্স তা নিশ্চিত করতে পারেনি। অ্যাসাঞ্জের আইনি দলও এ বিষয়ে তাত্ক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ ও পররাষ্ট্র বিষয়ক দপ্তরের কাছে জানতে চাইলে তারা চলতি বছরের জুনে এ প্রসঙ্গে দেওয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যালান ডানকানের বিবৃতির দিকেই ইঙ্গিত করেন।সূত্রঃ-রয়টার্স।