স্পেনের ভালাদোলিদ প্রদেশের দুয়েরো নদীর তীরে চলে যান। সেখানে তীরঘেঁষা ছোট এক শহর টরদেসিলাস। খুব বেশি কিছু না আশা করলেও মিলবে মধ্যযুগীয় প্লাজা মেয়র এবং কয়েকটি চার্চ। এ শহরের আরেকটি অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
১৪৯৪ সালে স্পেনের শাসনরত কিংডম অব ক্যাস্টাইল এবং পর্তুগালকে বিভক্ত করা হয়। সেই থেকে ব্রাজিল আমেরিকাসের একমাত্র পর্তুগিজ ভাষায় কথা বলা দেশে পরিণত হয়। পুরনো ইতিহাস ও ঐতিহ্য অবলোকনের জন্য টরদেসিলাস অনবদ্য এক স্থান। স্পেন আর পর্তুগালের মধ্যকার ঐতিহাসিক টরদেসিলাসের চুক্তি এখানেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই চুক্তি আটলান্টিকের ওপর বিভক্তকারী দাগ ফেলে। এই স্থানের মাধ্যমেই আফ্রিকা আর আমেরিকার ভূ-খণ্ড ভাগ করে দেওয়া হয়। বলা হয়, এই শহরটিই কিন্তু গোটা বিশ্বকে দুই ভাগে ভাগ করে দিয়েছে।
এই শহরকে বেছে নিয়েছিলেন ক্যাথলিক দুই মোনার্ক আরাগনের ফার্দিনান্দ এবং ক্যাস্টাইলের ইসাবেলা। দৃষ্টিনন্দন অঞ্চল, প্রাচীন আবহ আর রাজকীয় ভিলাগুলো সত্যিকার অর্থেই অতুলনীয়। পর্তুগালের ইতিহাস ও সংস্কৃতির পুরোটাই যেন ধারণ করছে এই শহরটি। ১৪ শো শতকে এই শহরে বাস করতেন পর্তুগালের কুইন মেরি। তখন পর্তুগাল ছিল এক অসাধারণ শহর। এটি সেই শহর যেখানে কুইন জুয়ানা প্রথম তার স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে গিয়েছিলেন।
এটি স্পেনের একেবারে মাঝখানে অবস্থিত। ভালাদোলিদ থেকে ২০ মিনিটের পথ। মাদ্রিদ থেকে ২ ঘণ্টা লাগবে।
সেখানে দেখতে পারবেন মুসিও দেল ট্রাটাদো বা ট্রিটি মিউজিয়াম। স্পেন আর পর্তুগালের মধ্যে যা যা ঘটেছিল তার সবই রয়েছে এখানে। এই জাদুঘরটি সেই ভবনেই অবস্থিত যেখানে বসে সেই মধ্যযুগে চুক্তি সই হয়েছিল।
আবার এই শহরটি যে কেবল আপনাকে পুরনো আমলে ফিরিয়ে নেবে তাই নয়, এখানে আরো দেখার ও করার জিনিস রয়েছে। হাইকিং, হর্স রাইডিং আর বাইকিংয়ের স্বর্গ যেন টরদেসিলাস। গোটা বিশ্বের পর্যটকদের কাছে দারুণ আকর্ষণীয় এক স্থানের নাম।