‘ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম‘ হচ্ছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক একটি নীতি গবেষণা কেন্দ্র। প্রতিবছর ডাভোসে তারা একটি সম্মেলনের আয়োজন করে যেখানে সারা বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রের নামকরা লোকদের জড়ো করা হয়।
তাদের রিপোর্টটিতে বলা হচ্ছে, রোবট এবং এলগরিদমের কারণে এখনকার বিভিন্ন কাজের উৎপাদনশীলতা অনেকগুন বেড়ে যাবে। কিন্তু এর ফলে নতুন কাজ তৈরিরও সুযোগ হবে।
ডাটা এনালিস্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপার, সোশ্যাল মিডিয়া স্পেশালিস্ট– এধরণের কাজ প্রচুর বাড়বে। তবে শিক্ষক বা কাস্টমার সার্ভিস কর্মীর মতো কাজ, যাতে কিনা অনেক সুস্পষ্ট মানবিক গুণাবলীর দরকার হয়, সেরকম কাজও অনেক তৈরি হবে।
কিন্তু এই নতুন কাজ তৈরির প্রক্রিয়াটা যে সহজ হবে না, এই পরিবর্তনের পথে যে নানা রকম ঘাত–প্রতিঘাত আসবে, সেটা মনে করিয়ে দেয়া হচ্ছে রিপোর্টটিতে। একাউন্টিং প্রতিষ্ঠান, কারখানা থেকে শুরু করে পোস্ট অফিস, ক্যাশিয়ারের কাজ—রোবট এসে দখল করে নেবে এসব কাজ। এই বিরাট পরিবর্তনের মুখে কর্মীদের নতুন কাজের প্রশিক্ষণ নিতে হবে, নতুন দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
উল্লেখ্য মাত্র গত মাসে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের প্রধান অর্থনীতিবিদ অ্যান্ডি হ্যালডেন হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে ব্রিটেনে হাজার হাজার মানুষ রোবটের কারণে কাজ হারাবে।
মিস্টার হ্যালডেন বলেছিলেন, যদি মানুষের জন্য নতুন কাজ তৈরি করতে হয়, কোম্পানিগুলোকে অনেক সৃষ্টিশীল হতে হবে। কিন্তু সেটি সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে তার। বিবিসি।