মিয়ানমারে দমন-পীড়নে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য প্রথম দফায় ৫৩ মেট্রিক টন ত্রাণ পাঠিয়েছে ভারত সরকার। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে করে এসব ত্রাণ এসে পৌঁছায়। ‘অপারেশন ইনসানিয়াত’ নামে এ ত্রাণ সহায়তার প্রথম দফার চালানে চাল, ডাল, বিস্কুট, লবণ, চিনি, সাবান, মশারি ও গুঁড়ো দুধসহ বিভিন্ন পণ্য রয়েছে।
বিমানবন্দরের রানওয়েতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব ত্রাণ হস্তান্তর করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকটে ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে। বাংলাদেশে যে পরিমাণ রোহিঙ্গা এসেছে তারা বাংলাদেশের অর্থনীতি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। এরপরও বাংলাদেশ তাদের মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দিয়েছে। এজন্য আমরা বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানাই।
হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ভারত বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ। পুরো বিষয়টিতে আমরা বাংলাদেশকে সমর্থন করি। তাই রোহিঙ্গাদের জন্য আমাদের যে ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হচ্ছে তার নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন ইনসানিয়াত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা এসেছে। বাংলাদেশের মতো বহুল জনসংখ্যার দেশে তাদের খাদ্য ও বস্ত্র যোগান দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ। বিষয়টি অনুধাবন করে ভারত সরকার ৭ হাজার টন ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে। টানা ৪৮ ঘণ্টা কাজ করে ৫৩ টন পাঠানো হয়েছে। বাকিগুলো ভারতের বিশাখা পত্তম বন্দর থেকে জাহাজে এবং বিমানে করে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চট্টগ্রাম আসবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের ভারপ্রাপ্ত চট্টগ্রাম সহকারী হাইকমিশনার অরুন্ধতি দাস, ঢাকাস্থ ইন্ডিয়ান হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি নবনিতা চক্রবর্তী, প্রেস অ্যাটাসে রঞ্জন মন্ডল, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান, জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মাসুকুর রহমান শিকদার, বিমানবন্দর ম্যানেজার উয়িং কমান্ডার রিয়াজুল কবির প্রমুখ।
দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে ভারতীয় ত্রাণ নিয়ে আসা সি-১৭ বিমানটি অবতরণ করে। ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানান, রোহিঙ্গাদের জন্য পাঠানো ত্রাণে বিভিন্ন পণ্য দিয়ে ১৫ কেজি করে প্যাকেট করা হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে সাত হাজার টন ত্রাণ পাঠানো হবে।