রিয়াল সোসিয়েদাদের বিরুদ্ধে ড্র করে শীর্ষে ওঠার যে সুযোগ করে দিয়েছিল বার্সেলোনা, তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। রবিবাসরীয় লা-লিগার ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়ার কাছে আটকে গেল রিয়াল মাদ্রিদ। বলা ভালো করিম বেঞ্জেমার শেষ মুহূর্তের গোলে হার বাঁচাল জিদানের দল। ফলে লিগ শীর্ষে থেকে এল ক্লাসিকোয় অবতীর্ণ হওয়া হচ্ছে না রিয়ালের।
তবে এদিন শুরুটা দেখে মনে হয়নি রিয়ালকে এভাবে হোঁচট খেতে হবে। একাধিক আক্রমণের সু্যোগ তৈরি করেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হওয়ার খেসারত দিতে হল লস ব্ল্যাঙ্কোসদের। উল্টোদিকে বিপক্ষের সুযোগ নষ্টের প্রদর্শনীর সুযোগ নিয়ে ঘরের মাঠে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে ভ্যালেন্সিয়া। বারকয়েক বিপক্ষ বক্সে হানাও দেয় তারা। প্রথমার্ধে ভ্যালেন্সিয়ার আক্রমণভাগে নেতৃত্ব দেন ফেরান টোরেস। যদিও বিরতির আগে ম্যাচ গোলশূন্যই থাকে।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধেও টোরেসের নেতৃত্বে বিক্ষিপ্ত কিছু আক্রমণ তৈরি করে ভ্যালেন্সিয়া। দুরন্ত সুযোগ পেয়েও থিবো কুর্তোয়ার সৌজন্যে স্কোরশিটে নাম তুলতে ব্যর্থ হন রডরিগো মোরেনো। উলটোদিকে রিয়াল বিক্ষিপ্ত কিছু আক্রমণ শানালেও ইতিবাচক সুযোগ তৈরিতে ব্যর্থ হয় জিদানের ছেলেরা। ৭৮ মিনিটে ঘরের মাঠে একটি দুরন্ত মুভমেন্টের ফায়দা তুলে ম্যাচে লিড নেয় ভ্যালেন্সিয়া। ড্যানিয়েল ওয়াসের ডানপ্রান্তিক কাট-ব্যাক থেকে ফাঁকা গোল পেয়ে স্কোরলাইন ১-০ করে যান কার্লোস সোলের।
এরপর লুকা জোভিচের একটি গোল অফসাইডের জন্য বাতিল হলে ম্যাচ পুরোপুরি ঢলে পড়ে ভ্যালেন্সিয়ার অনুকূলে। কিন্তু রিয়াল ফুটবলারদের নিরন্তর প্রচেষ্টা বিফলে যায়নি। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে বলা ভালো শেষ টাচে গোল করে অন্ততপক্ষে এক পয়েন্ট নিশ্চিত করে রিয়াল। ৯৫ মিনিটে গোলরক্ষক থিবো কুর্তোয়া উঠে যান গোল করতে। কর্নার থেকে তাঁর হেড প্রতিহত হলে ফিরতি বল জটলার মধ্যে থেকে জালে জড়িয়ে দেন ফরাসি স্ট্রাইকার বেঞ্জেমা।
এই জয়ের ফলে ১৬ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়েই আগামী সপ্তাহে এল ক্লাসিকোতে নামবে দ্বিতীয়স্থানে থাকা রিয়াল। একই পয়েন্ট নিয়ে গোলপার্থক্যে শীর্ষে থেকে ক্ল্যাশ অফ দ্য টাইটানসে অবতীর্ণ হবে কাতালান ক্লাব বার্সেলোনা।