পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার একদিন পরই ইমরান খান দেশের জন্য নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। ২১ সদস্যের মন্ত্রিসভায় ১৬ জন মন্ত্রী ও পাঁচজন উপদেষ্টা রয়েছেন। নতুন মন্ত্রিসভাকে পাকিস্তানের কোনো কোনো গণমাধ্যম ছোট তবে শক্তিশালী বলে মন্তব্য করেছে।
ইমরান খানের মন্ত্রিসভায় যেসব ব্যক্তি ঠাঁই পেয়েছেন তাদের এক-তৃতীয়াংশ সাবেক সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। এসব ব্যক্তি ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে সাতজন সাবেক স্বৈরশাসক জেনারেল পারভেজ মুশাররফের আমলে এবং দু জন পাকিস্তান পিপলস পার্টি বা পিপিপি সরকারের মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন।
নতুন মন্ত্রিসভা আগামীকাল (সোমবার) শপথ নেবে। ১৬টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ক্ষমতাসীন পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ বা পিটিআই দলের মিত্রদেরকে ছয়টি মন্ত্রণালয় দেয়া হয়েছে।
আসাদ ওমরকে অর্থমন্ত্রী, পিটিআই ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মেহমুদ কোরেশিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, খায়বার-পাখতুনখোয়ার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ খাট্টাককে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ড. শিরিন মাজারিকে মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে শাহ মেহমুদ কোরেশি আগে পিপিপি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া, ড. ফাহমিদা মির্জাকে আন্ত-প্রাদেশিক সমন্বয় বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। চৌধুরী তারিক বশির পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভার সদস্য জাতীয় সংসদ ও সিনেটের মোট সদস্যের শতকরা ১১ ভাগের বেশি হতে পারবে না। সে হিসাবে ইমরান খান তার মন্ত্রিসভায় মোট ৪৯ জন মন্ত্রী নিয়োগ দিতে পারবেন। পিটিআই দলের একজন সিনিয়র নেতা জানিয়েছেন, প্রয়োজন অনুযায়ী মন্ত্রী সংখ্যা বাড়তে পারে।