দুই বাংলার নাটক নিয়ে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে আজ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ১০ দিনব্যাপী ‘গঙ্গা যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব ২০১৭’। ভারত ও বাংলাদেশের সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা বিনিময় ও মৈত্রীর বন্ধন দৃঢ়করণের লক্ষ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো এ উৎসবের আয়োজন করেছে গঙ্গা যমুনা নাট্যোৎসব পর্ষদ।
গঙ্গা যমুনা নাট্যোৎসব পর্ষদের আহ্বায়ক গোলাম কুদ্দুছ জানান, উৎসবে বাংলাদেশ ও ভারতের মোট ২৯টি নাট্যদল নাটক মঞ্চায়ন করবে। এর মধ্যে ভারতের কলকাতার ৩টি নাটকের দল রয়েছে। এছাড়া উৎসবে দেশীয় ৬৩টি সংগঠন উৎসব প্রাঙ্গণের উন্মুক্ত মঞ্চে আবৃত্তি, গান, নৃত্য ও পথনাটক পরিবেশন করবে।
তিনি বলেন, বলেন, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে আয়োজিত এ উৎসবে প্রধান অতিথি থাকবেন। বরেণ্য অভিনেতা ও নির্দেশক আলী যাকের উৎসবের উদ্বোধন করবেন। ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
গোলাম কুদ্দুছ একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তন, এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হল ও স্টুডিও থিয়েটার হলে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় ৩টি করে নাটক মঞ্চায়ন হবে এবং উদ্বোধনী সন্ধ্যায় কোরিওগ্রাফি পরিবেশন করবে সাংস্কৃতিক সংগঠন স্পন্দন।
সকল ধারার সংস্কৃতি কর্মীদের মেলবন্ধন ও সংস্কৃতি জাগরণের মতো বিষয়গুলো মাথায় রেখে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নাটকের মাধ্যমে এ উৎসবের শুরু হলেও এখন এটি সকল ধারার সংস্কৃতি বলয়ে পরিণত হয়েছে। উৎসবে এবার শিশুদের ২টি দল অংশ নিচ্ছে।
পর্ষদ আহবায়ক আরো বলেন, যার অনুপ্রেরণায় এ উৎসবের আয়োজন হয়ে আসছে, সেই অমলেশ চক্রবর্তী কলকাতার অনীক নাট্যদলের প্রধান আর আমাদের মাঝে নেই। স¤প্রতি তিনি প্রয়াত হয়েছেন। তাই এবারের উৎসবটি তাকে উৎসর্গ করা হয়েছে।
উৎসব দুই বাংলার শিল্পী কলাকুশলীদের পারস্পরিক আত্মার বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে উল্লেখ করে গোলাম কুদ্দুছ বলেন, আমরা দর্শকের কাছে দু’বাংলার নাট্যগীত, নৃত্য ও অভিনয় শৈলী পৌঁছে দিতেই এ উৎসবের আয়োজন করে থাকি। এ উৎসব নতুন নাট্যদর্শক সৃষ্টিতেও ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি আরো বলেন, উদ্বোধনী সন্ধ্যায় প্রধান মিলনায়তনে প্রাচ্যনাচের নাটক ‘সার্কাস সার্কাস’, এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে প্রাঙ্গণেমোরের ‘কনডেম সেল’ এবং স্টুডিও থিয়েটার হলে লোক নাট্যদলের (বনানী) নাটক ‘বৈকুণ্ঠের খাতা’ মঞ্চায়ন হবে।
১০ দিনব্যাপী এ উৎসবে সহযোগিতা করছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও ইন্ডিয়া বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন।