পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরবের উদ্দেশে হজযাত্রীদের ফ্লাইট সোমবার শেষ হয়েছে। ভিসাপ্রাপ্ত সকল হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনের জন্য ইতোমধ্যেই জেদ্দার উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করেছেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমি স্বস্তির সঙ্গে জানাতে চাই যে আমরা ভিসাপ্রাপ্ত সকল হজযাত্রীকে আজ জেদ্দার উদ্দেশে দেশ ত্যাগে সমর্থ হয়েছি। আমাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হজযাত্রী বহনের মাধ্যমে আমরা হজ ফ্লাইট শেষ করেছি।’
মন্ত্রী বলেন, আজ পর্যন্ত মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১০৩ হজযাত্রী জেদ্দার উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন। মেনন বলেন, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৬৪ হাজার ৮৭৩ জন ও সৌদিয়া এয়ারলাইন্স ৬২ হাজার ২৩০ হজযাত্রী বহন করেছে।’
তিনি আরো বলেন, এ বছর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৬৩ হাজার ১২৫ জন হজযাত্রী বহন করার কথা ছিল। কিন্তু সৌদিয়া এয়ারলাইন্স তাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হলে বিমান বাংলাদেশ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হজযাত্রী বহন করে। সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের ৬৩ হাজার ১২৫ হাজীকে বহন করার কথা ছিল।
মন্ত্রী বলেন, ভিসা অথবা বিমানের টিকিট না পাওয়ায়, মোট ৩৯৭ নিবন্ধিত হজযাত্রী হজ পালনে সৌদি আরবে যেতে পারেননি। সোমাবার বিকেল ৩টায় জাতীয় পতাকাবাহী সর্বশেষ হজ ফ্লাইটটি উড্ডয়নের মধ্য দিয়ে এ বছরের হজ ফ্লাইট শেষ হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ সকল হজযাত্রীকে বহনের জন্য অতিরিক্ত আটটি হজ ফ্লাইটের অনুমোদন দিয়েছে। আমরা ওই আটটির মধ্যে ছয়টি ব্যবহার করেছি। ছয়টি ফ্লাইটেই আমরা আমাদের সকল অপেক্ষমান হজযাত্রীকে বহন করাতে সমর্থ হয়েছি।’
সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, হজ পরবর্তী ফ্লাইট ৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।