সমুদ্রভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী (অ্যান্টি-মিসাইল) ব্যবস্থা গড়ে তুলে চীন তা এশিয়া-প্যাসিফিক ও ভারত মহাসাগরে মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে।
জানা গেছে, শীর্ষস্থানীয় পরমাণু শক্তিধর আমেরিকা ও রাশিয়ার অ্যান্টি-মিসাইল প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলাতে চীনের এই উদ্যোগ। স্নায়ুযুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে রক্ষা পাওয়ার জন্য চীন এশিয়া-প্যাসিফিকে সমুদ্রভিত্তিক একটি ব্যবস্থা নিয়েও কাজ করছে বলে পর্যবেক্ষকেরা জানিয়েছেন।
চীন ও বিশ্বের বৃহত্তম মহাসাগরের মধ্যে ফার্স্ট আইল্যান্ড চেন নামে অভিহিত বেশ কিছু দ্বীপ রয়েছে। বেইজিং বলছে, আমেরিকা স্নায়ুযুদ্ধের সময় থেকে ফার্স্ট আইল্যান্ড চেন ব্যবহার করে চীনকে ঘিরে ফেলার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
পিপলস লিবারেশন আর্মির সেকেন্ড আর্টিলারি কোরের প্রাক্তন সদস্য ও সামরিক বিশেষজ্ঞ সং ঝোংপিং ফনিক্স টেলিভিশনকে বলেন, চীনের সমুদ্রভিত্তিক অ্যান্টি-মিসাইল সিস্টেমের লক্ষ্য তার ভূখণ্ড ও সাগরের স্বার্থ রক্ষা। যেসব স্থানে তার রণতরীগুলো যেতে পারে, সেখানে প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মোতায়েন করা হবে। চীন তার বৈদেশিক স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রথমে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল ও ভারত মহাসাগরের দিকে নজর দেবে। একইসঙ্গে গভীর সমুদ্রে চলাচল করতে সক্ষম একটি নৌবাহিনী গড়ার চেষ্টা করছে চীন।
তিনি আরও বলেন, আমেরিকা ও অন্যান্য দেশ চীনকে সংযত করার জন্য ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল গ্রহণ করেছে। এর জবাবে চীন অবশ্যই ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী ব্যবস্থা মোতায়েন করবে।
এদিকে ম্যাকাওয়ের সামরিক বিশেষজ্ঞ ওঙ দং বলেন, চীন নতুন প্রজন্মের সাগরভিত্তিক এইচকিউ-২৬ অ্যান্টি-মিসাইল ব্যবস্থা নির্মাণ করে ফেলেছে। এর পাল্লা ৩,৫০০ কিলোমিটার। এই ক্ষেপণাস্ত্র দেশটির বৃহত্তম ডেস্ট্রয়ারে মোতায়েন করা হতে পারে।