আজ ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হচ্ছে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের ৬৩তম সম্মেলন । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিপিএর ভাইস প্যাট্রন হিসেবে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। তবে সম্মেলনের সব সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি)।
সিপিএর এবারের সম্মেলনে স্পেশাল কম্পোনেন্ট (বিশেষ উপাদান) হিসেবে রোহিঙ্গা ইস্যু অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে প্রথম দিনই বিকেল সাড়ে ৩টায় সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন দেশের জনপ্রতিনিধিদের ব্রিফ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এতে তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সহযোগিতা চাইবেন।
সম্মেলনে আয়োজক দেশ হিসেবে ‘ডেমোক্রেসি মাস্ট ডেলিভার :রোল অব পার্লামেন্ট অ্যাড্রেসিং দ্য চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক একটি ওয়ার্কশপের টপিক নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া এসডিজি (টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা) নিয়ে পৃথক একটি ওয়ার্কশপ হবে। পাশাপাশি ক্লাইমেট চেঞ্জ, ইকোনমিক ইন্টিগ্রেশন, দারিদ্র্য বিমোচনসহ আটটি ইস্যুতে আলোচনা হবে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সংসদীয় এই ফোরামে কমনওয়েলথভুক্ত ৫২টি রাষ্ট্রের জাতীয় ও প্রাদেশিক সংসদসহ ১৮০টি ব্রাঞ্চ রয়েছে, যার মধ্যে ৪৪টি দেশসহ ১৪৪টি সিপিএ ব্রাঞ্চ এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে। বর্তমান কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, সংসদ সদস্য, অন্যান্য প্রতিনিধিসহ সাড়ে পাঁচশ’র মতো প্রতিনিধি ঢাকায় অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে ৫৬ স্পিকার ও ২৩ জন ডেপুটি স্পিকার রয়েছেন।
গ্রেট ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সিপিএর প্যাট্রন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বাণী পাঠিয়েছেন। ২০১৭ সালের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিপিএর ভাইস প্যাট্রন। ২০১৪ সাল থেকে সিপিএর বর্তমান চেয়ারপারসন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এবারের সম্মেলনে তিনি বিদায় নিচ্ছেন এবং ৭ নভেম্বর নির্বাহী কমিটির নতুন চেয়ারপারসন পেতে যাচ্ছে সিপিএ।