মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমালিয়া থেকে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রায় সব মার্কিন সৈন্য ফিরিয়ে আনতে আদেশ দিয়েছেন। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সোমালিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৭০০ জন সেনা রয়েছে, যারা স্থানীয় বাহিনীকে আল শাবাব এবং ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সাহায্য করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কিছু সেনাকে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে পাঠানো হবে। সেখানে আন্তঃসীমান্ত কার্যক্রমে অংশ নেবে তারা।
এর আগে সম্প্রতি ইরাক ও আফাগানিস্তানে থাকা মার্কিন সেনা ফেরাতেও একই ধরনের আদেশ দেন ট্রাম্প। দীর্ঘদিন থেকেই সেনাদের ঘরে ফেরানোর কথা বলেছিলেন ট্রাম্প।
একই সঙ্গে মার্কিন সেনাবাহিনীর খরচ অনেক ব্যয়বহুল ও অকার্যকর হওয়ার বিষয়টির সমালোচনাও করেন তিনি।
ট্রাম্প ক্ষমতা ছাড়ার আগেই মার্কিন সেনা তুলে নেওয়ার কথা রয়েছে। আসছে ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিবেন জো বাইডেন।
পেন্টাগনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের শুরুর দিকেই সোমালিয়া থেকে কর্মকর্তা ও সম্পদ স্থানান্তর কিন্তু মার্কিন নীতির পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয় না। শক্তির প্রতিযোগিতায় আমাদের কৌশলগত সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য আমরা হিংসাত্মক উগ্রপন্থী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে কার্যক্রম অব্যাহত রাখব।
তবে কিছু বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে বলেছেন, মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে আফ্রিকা অঞ্চলে জঙ্গিদের আরো উৎসাহিত করবে।
মার্কিন সরকারের পরিদর্শকরাও সোমালিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাদের মতে সেখানকার স্থানীয় বাহিনী মার্কিন সমর্থন ছাড়া জঙ্গিদের প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে না।
সোমালিয়ার আইন প্রণেতা এবং কর্মকর্তারাও বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্য প্রত্যাহার বিপর্যয় ডেকে আনবে এবং সন্ত্রাসীদের উৎসাহী করবে।
সোমালিয়া ছেড়ে আসা মার্কিন সেনারা রাজধানী মোগাদিশুতে থাকবে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।
কয়েক দশক ধরেই জঙ্গিদের কারণে অস্থির পরিবেশ দেখে আসছে সোমালিয়া। কিন্তু সম্প্রতি আফ্রিকান ইউনিয়নের শান্তিরক্ষাবাহিনী মার্কিন সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়েদার সমর্থক আল শাবাবের হাত থেকে রাজধানী মোগাদিশু নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।