সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ৷ সাকিবদের ১৪ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় বিরাটবাহিনী ৷ ২১৯ রান তাড়া করতে নেমে ২০৪ রানে থেমে যায় হায়দরাবাদের ইনিংস ৷
রান তাড়া করতে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করেন সানরাইজার্সের দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও অ্যালেক্স হ্যালস৷ কিন্তু পাওয়ার প্লে-এর মধ্যেই ধাওয়ানকে ডাগ-আউটে ফেরত পাঠিয়ে হায়দরাবাদকে প্রথম ধাক্কা দেয় ব্যাঙ্গালোর৷ তবুও ৫.৩ ওভারে পঞ্চাশের গণ্ডি টপকে যায় সানরাইজার্স ৷ ২৪ বলে ৩৭ রান করা হ্যালসকে দুরন্ত ক্যাচ ধরে ডাগ-আউটে ফেরান এবিডি৷ কিন্তু তৃতীয় উইকেটে ক্যাপ্টেন উইলিয়ামসন ও মনীশ পাণ্ডে ১৩৫ রান যোগ করলেও জয় অধরা থেকে যায় সানরাইজার্সের ৷ ৪২ বলে পাঁচটি ছয় ও সাতটি বাউন্ডারির সাহায্যে ৮২ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন উইলিয়ামসন৷ আর পাণ্ডে ৩৮ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থেকেও দলকে জেতাতে পারেননি৷ ৬৯ রানের দুরন্ত ইনিংস ও সুপারম্যান ক্যাচ নিয়ে ম্যাচের সেরা এবিডি ৷
এর আগে প্লে-অফের দৌড়ে থাকার লড়াইয়ে স্বপ্নের শুরু হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের৷ চিন্নাস্বামীতে ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে এবি ডি’ভিলিয়ার্স ও মঈন আলির বিধ্বংসী ব্যাটিং বিরাট কোহলিদের বড় রানে পৌঁছে দেয় ৷ দু’জনের দুরন্ত হাফ-সেঞ্চুরি ও গ্র্যান্ডহোমের সাইক্লোন ইনিংসে ভর করে হায়দরাবাদের সামনে ২১৯ রানের লক্ষ্য রাখে ব্যাঙ্গালোর ৷
এদিন টস জিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সকে ব্যাট করতে পাঠান সানরাইজার্স অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন৷ শুরুটা ভালো হয়নি ব্যাঙ্গালোরের৷ পার্থিব প্যাটেল ও ক্যাপ্টেন কোহলি মাত্র ৩৮ রান ডাগ-আউটে ফেরায় চাপে পড়ে যায় আরসিবি৷ কিন্তু ক্রিজে এসেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে চাপমুক্ত হন এবিডি ও মঈন ৷ দু’জনের ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরিতে ১২ ওভারে একশোর গণ্ডি টপকায় ব্যাঙ্গালোর ৷
সানরাইজার্সকে হারিয়ে ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলে পাঁচ নম্বরে উঠে এল বিরাটবাহিনী৷ অর্থাৎ প্লে-অফের আশা জিইয়ে রাখল আরসিবি ৷ শেষ ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসকে হারাতে পারলে প্লে-অফে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে ব্যাঙ্গালোরের ৷ ১৩ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে আগেই প্লে-অফের জায়গা করে নিয়েছে সানরাইজার্স ৷ শনিবার ঘরের মাঠে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে লিগের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবে হায়দরাবাদ ৷