অনবরত হেঁচকি হচ্ছে৷ থামতেই চাইছে না৷ এটা বেশ বিরক্তিকর নয় কি? আর এই বিব্রতকর অবস্থায় পড়েননি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। অথচ এটা এড়ানোও বেশ কঠিন। অনেকেই জানে না কখন এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে৷ কিন্তু, হেঁচকির মত বিচ্ছিরি সমস্যাটার সমাধান কিন্তু হতে পারে মাত্র দু’মিনিটেই! অবশ্যই তা সম্ভব!
জিহ্বা টেনে ধরে রাখুন: শুনতে অদ্ভুত শোনালেও এটা কিন্তু বেশ কার্যকর। অনবরত হেঁচকি উঠলে জিহ্বা বের করে আঙ্গুল দিয়ে টেনে ধরে রাখুন কিছুক্ষণ! হেঁচকি থেমে যাবে নির্ঘাত!
এক চামচ পিনাট বাটার: পিনাট বাটার তো এমনিতেই খেতে বেশ ভালো। তাই হেঁচকি উঠলে দেরি না করে ঝটপট খেয়ে নিতে হবে এক চামচ পিনাট বাটার। হেঁচকি থেমে যাবে।
এক চামচ চিনি: ওজন কমাতে চিনি থেকে আপনি দূরে থাকলেও হেঁচকি উঠলে এক চামচ চিনি খেয়ে নিতে ইতস্তত করবেন না যেন! এক চামচ চিনি আপনাকে অনবরত হেঁচকির যন্ত্রণা থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি দিতে সক্ষম।
কানে আঙ্গুল দিয়ে রাখুন: দু কানের ফুটোয় আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরে রাখুন এমনভাবে যেন আপনি কিছুই শুনছেন না। তবে অতিরিক্ত জোরে চেপে ধরবেন না যেন। কিছুক্ষণ এভাবেই থাকুন। দেখবেন হেঁচকি গায়েব!
জল পান বা গার্গল: বড় এক গ্লাস জল পান করুন অথবা গার্গল করার চেষ্টা করুন। হেঁচকি থামাতে চমৎকার কাজে দেবে!
নিঃশ্বাস আটকে রাখা: বড় একটি নিঃশ্বাস নিন এবং যতক্ষণ সম্ভব আটকে রাখার চেষ্টা করুন। সেই সঙ্গে নাক চেপে রাখতে ভুলবেন না৷ যাতে বাতাস বেরিয়ে যেতে না পারে।
নিজেকে ভয় পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা: নিজেকে ভয় পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। কেননা আপনি ভয় পেলে তা আপনার নার্ভগুলোকেও চমকে দেয়। আর সে কারণেই আপনার হেঁচকিও থেমে যায়। তাই হেঁচকি উঠলে হরর মুভি দেখা শুরু করুন!
একটি কাগজের ব্যাগে শ্বাস প্রশ্বাস নিন: একটি কাগজের ব্যাগ নিন আর তাতে মুখ রেখে শ্বাস প্রশ্বাস নিন। এতে আপনার রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায় আর সেই সঙ্গে এটি হেঁচকি থামাতেও দারুণভাবে কাজ করে।
শেষ উপায় একটি অ্যান্টাসিড ট্যাবলেট: এতো কিছু করার পরেও যদি আপনার হেঁচকি না থামতে চায় তবে শেষ উপায় একটি অ্যান্টাসিড ট্যাবলেট। কেননা এতে আছে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম,যা আপনার নার্ভগুলোকে শান্ত করে, ফলে হেঁচকি থেমে আসে আপনি আপনিই!