ডিএমপি নিউজ: দক্ষিণখান থানার মামলায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৫টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ চোর চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-মোহাম্মদ আলী, আানোয়ার হোসেন রুবেল, মোঃ সামছুল হুদা, মোঃ কামাল হোসেন ওরফে আকাশ ও মোঃ মিজান। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ১৫টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর ২০২২) রাজধানীতে ও নোয়াখালী জেলার চাটখিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে ডিবি উত্তরা বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর ২০২২) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার।
তিনি বলেন, গত ২০ ফ্রেবুয়ারি ২০২২ দক্ষিণখান থানার উচারটেক আশকোনা এলাকার একটি বাড়ি থেকে মোঃ সাদিকুল ইসলাম শুভর একটি এপাচি আর টি আর মোটরসাইকেল চুরি হয়। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা রুজু হয়। পরবর্তী সময়ে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিএমপির গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগকে।
গোয়েন্দা প্রধান বলেন, মামলাটি ডিবির সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে কাজ শুরু করে একটি চৌকস টিম। প্রথমে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে। পরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর চারজনকে নেয়াখালী জেলার চাটখিল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের অপরাধের কৌশল সম্পর্কে ডিবি প্রধান বলেন, এ চক্রের মোহাম্মদ আলী মোটর সাইকেল চুরি করার জন্য টার্গেটকৃত মোটর সাইকেলের আশপাশে গিয়ে তার সহযোগীদের নিয়ে ঘোরাঘুরি করে। অনেক সময় মোটরসাইকেলের উপর বসে নিজেরা কথা বলে। পরবর্তী সময়ে সুযোগ বুঝে তাদের নিজেদের তৈরি করা চাবি দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাপ্ত তথ্য সম্পকে তিনি বলেন, মোহাম্মদ আলী তার সহযোগী কয়েকজনসহ বিগত কয়েক বছর যাবৎ ঢাকার উত্তরা এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে থাকে। পরে ওই মোটরসাইকেলগুলো নোয়াখালী জেলার চাটখিল ও সোনাইমুড়ী থানা এলাকায় বিক্রি করে। তাদের পেশাই হচ্ছে মোটরসাইকেল চুরি করা।
তিনি বলেন, এছাড়া যারা চুরি করে এবং কম টাকায় এসব চোরাই মোটর সাইকেল ক্রয় করে ব্যবহার করেন তারাও একই অপরাধে অপরাধী হবেন। কারোর মোটরসাইকেল চুরি হলে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করে ডিবি পুলিশকে অবগত করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। রিমান্ডের আবেদনসহ বিজ্ঞ আদালতে তাদের প্রেরণ করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ১৫টি মোটর সাইকেলের মধ্যে ইতোমধ্যে ৬ জনের মালিকানা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আকরামুল হোসেন এর দিক নির্দেশনায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আছমা আরা জাহান এর তত্ত্বাবধানে, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ী চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান এর নেতৃত্বে বিশেষ অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।