রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের সক্ষমতা বাড়ায় কয়েক বছরে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বেড়েছে। এ উন্নয়ন ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালের মধ্যে দেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি) পৌঁছাবে।
আজ আগারগাঁও পিকেএসএফ ভবন অডিটোরিয়মে ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স এন্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) তৃতীয় ডিপ্লোমা ইন মাইক্রো ফিন্যান্স এর সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
আইএনএম সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ.আ.ম.স. আরেফিন সিদ্দিক।
এতে বক্তৃতা করেন ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তফা কে মুজেরী ও পরিচালক সাব্বির আহমেদ চৌধুরী।
বক্তারা বলেন যে, সমাজের মূলধারায় সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কাজে যুক্ত করলে দেশের সার্বিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হবে।
এসময় তারা দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে নিয়ে কাজ করার আহবান জানিয়ে বলেন,বিশ্বের উন্নয়নের ধারায় নিজেদের সম্পৃক্ত করতে তথ্য প্রযুক্তির বিকাশের পাশাপাশি নারী ও পুরুষের বৈষম্য ও শ্রেণী বৈষম্য নিরসনে সকলকে কাজ করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ গড়তে আত্মশুদ্ধি, আত্মসমালোচনা ও আত্মোপলদ্ধির চর্চা বাড়াতে হবে। সমাজের সর্বস্তরে দুর্নীতি বেড়েছে। যারা দুর্নীতি করেন তারা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারেননি। শিক্ষকদের দেয়া শিক্ষায় আলোকিত হতে পারেন নি। শুধু সনদ পেয়েছেন। তাই সকলকে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে মানবিক মূল্যবোধের অভ্যাস গড়ে তোলার মানসিকতা সৃষ্টি করতে হবে।
তিনি বলেন, যে কোন প্রশিক্ষন জ্ঞানের মাত্রাকে বৃদ্ধি করে। জ্ঞান বিজ্ঞানের সাথে যুক্ত থাকলে তা বেড়ে একটি ভিন্নমাত্রা প্রকাশ পায় । শুধু মেধা সম্পন্ন মানুষ হলেই হবে না। পরিশীলিত মেধা দিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করার যাত্রা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি এর চর্চা বাড়ানোর কথাও উল্লেখ করেন উপাচার্য।
ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বলেন, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ থেকে উন্নীত হয়ে ৭ শতাংশে এসেছে। এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সকলকে স্ব স্ব স্থানে থেকে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন দারিদ্র্য বলতে শুধুমাত্র আর্থিক উন্নয়নের দুর্বলতাই বোঝায় না, বরং উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সকল উপাদান থেকে বিচ্ছিন্নতাকে বোঝায়। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, আইএনএম প্রবর্তিত ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম এ প্রত্যাশা বহুলাংশে পূরণ করতে সক্ষম হবে।
এসময় ৪র্থ, ৫ম ও ৬ষ্ঠ ব্যাচের ৫৪ জন অংশগ্রহনকারীকে সনদ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে দুজনকে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করায় চেয়ারম্যান এ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।
ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইএনএম) অর্থায়ন খাতের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ খাতের বিভিণœ বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ, শিক্ষা ও জ্ঞান ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করে আসছে। ২০১৫ সালে ক্ষুদ্র অর্থায়ন খাতে জ্ঞানসম্পন্ন ও দক্ষ মানব সমাজের চাহিদা মেটাতে আইএনএম ডিপ্লোমা ইন মাইক্রোফাইন্যান্স প্রোগ্রাম চালু করে। এ পর্যন্ত ৬টি ব্যাচে ১৪০জন অংশগ্রহণকারী কোর্সটি সম্পন্ন করেছে।