বয়স ৩৫। তবে বয়স যে তার কাছে কোনো বাধা নয় তা প্রমাণ করেই চলেছেন সুইজারল্যান্ডের স্ট্রাইকার জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ।
১৭তম প্রিমিয়ার লিগে রোববার স্যান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে ২৫০ গোলের মাইলফলক ছুঁয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এ ফুটবলার।
ইব্রাহিমোভিচ নৈপুণ্যে স্যান্ডারল্যান্ডকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারায় রেড ডেভিলসরা। ইব্রা ১ গোল করেন। এই মৌসুমে তার গোল সংখ্যা ২৮টি।
এই জয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চতুর্থ স্থানে উঠে আসার লড়াই জমিয়ে তুলেছে হোসে মরিনহোর শিষ্যরা।
সর্বশেষ ৮ ম্যাচে ৯ গোল করেছেন ইব্রাহিমোভিচ।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন আরও তরুণ হয়ে উঠছেন এ সুইস তারকা।
২০১১ সালে ৩০ বছরে পা রাখেন ইব্রাহিমোভিচ। এরপর ৩০৮ ম্যাচ খেলে ২৫০ গোল করেছেন তিনি। অন্যদিকে ৩০ বছরে পদার্পনের আগে ৫২৮ ম্যাচে ২৩২ গোল করেছিলেন ইব্রাহিমোভিচ।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেয়ার পর এখন পর্যন্ত বাইরের মাঠে ১৭টি গোল করেছেন এ ফুটবলার। যা রেড ডেভিলসদের হয়ে ২০১৩-১৪ সেশনের পর সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড।
প্রিমিয়ার লিগে ধারাবাহিকভাবে গোল করে রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন ইব্রাহিমোভিচ।
ইএফএল কাপের ফাইনালে ইব্রাহিমোভিচের জোড়া গোলে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে ৩-২ গোলে জয় পেয়েছিল ম্যানইউ।
ইব্রাহিমোভিচের মধ্যে বিস্ময়কর প্রতিভা তিনি দেখেছেন তার গুরু মরিনহো।
তার কথায়, ইংল্যান্ডে আসার পর তার (ইব্রাহিমোভিচ) সক্ষমতা নিয়ে কখনও সন্দেহ তৈরি হয়নি।
গত ডিসেম্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে ইব্রাহিমোভিচ সম্পর্কে মরিনহো বলেছিলেন, ‘ আমি প্রত্যাশা করেছিলাম এবং জানি সে কেন এখানে এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, অর্থ বা সম্মানের জন্য সে এখানে আসেনি। কেবল ফুটবলটাকে উপভোগ করতেই সে বিশ্বের অন্যতম সেরা দলে খেলছে।
‘সে দারুণ খেলছে। কিন্তু মাঝে মাঝে সে গোলের দেখা পায় না। তবুও সে আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তাকে গোল করার জন্যই কিনেছি’ যোগ করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যানেজার।