থাইল্যান্ডের সুখোথাই থাম্মাথিরাত ওপেন ইউনিভার্সিটির হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের একজন নানী কিমলান জিনাকুল। বুধবার তাকে স্নাতক ডিগ্রির সার্টিফিকেট প্রদান করবেন থাই রাজা দশম রাম।
৯১ বছর বয়সী কিমলান জিনাকুল বলছেন ‘আমার মধ্যে সবসময় শিক্ষাগ্রহণের প্রতি আলাদা একটা আকর্ষণ কাজ করতো। সবসময় ভাবতাম শিক্ষা গ্রহণের কোনো বয়স নেই, যে কোনো সময়েই এটা করা যায়।’
নিজের জীবনের রুটিন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমে আমি যাই বুদ্ধ মন্দিরে প্রার্থনার জন্য। এরপর প্রতিবেশী একটি মন্দির ঘুরে পড়ালেখার জন্য চলে যাই। তার পড়াশুনার বিষয় ছিল ‘হিউম্যান এন্ড ফ্যামিলি ডেভেলপমেন্ট।
৭২ বছর বয়সে কিমলান পুনরায় পড়ালেখা শুরু করার কিছুদিন পরই তার মেয়ে মারা যায়। মেয়ের মৃত্যুর শোকে কয়েক বছর লেখাপড়া বন্ধ রাখেন তিনি। এরপর প্রায় এক দশক পর ৮৫ বছর বয়সে আবারও শুরু হয় তার স্বপ্নপূরণ যাত্রা।