মাশরাফি-গেইলের রংপুরকে সহজেই হারিয়ে ফাইনালে চলে গেল তামিম-ইমরুলের কুমিল্লা। পয়েন্ট তালিকার সেরা দুইয়ের মধ্যে থাকায় হেরেও সুযোগ থেকে গেলো রংপুরের সামনে। প্রথম এলিমেনিটর ম্যাচে জয়ী ঢাকার সাথে ৬ ফেব্রুয়ারি হবে রংপুরের খেলা। যে জিতবে ফাইনালে কুমিল্লার সঙ্গী হবে সেই দল।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় রংপুর রাইডার্স। একটা সময় বিপদেই পড়েছিল তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজিই গড়ে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল।
শুরুতে ক্রিস গেইল, পরের দিকে রাইলি রুশো আর বেনি হাওয়েল। তিন বিদেশি ব্যাটসম্যানের কাঁধে চড়ে বিপদ কাটিয়েছে রংপুর। অথচ একটা সময় ৭৬ রান তুলতেই তারা হারিয়ে বসেছিল ৪ উইকেট।
গেইল রান পাচ্ছেন না। তার বিধ্বংসী চেহারা এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। ফাইনালে উঠার ম্যাচে সেজন্যই বোধ হয় নিজেকে আরও একটু খোলসে ঢুকিয়ে ফেললেন ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব। শুরু করলেন দেখে শুনে।
দলের বিপদে গেইল হয়ে গেলেন হাল ধরার মানুষ। সেই ভয়ানক ব্যাটিং নয়। একটু একটু করে এগোচ্ছিলেন ক্যারিবীয় ওপেনার। যখন হাত খুলে খেলতে যাবেন, ঠিক তখনই আউট হয়ে গেলেন।
মেহেদী হাসানকে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারির ঠিক কাছে থিসারা পেরেরার ক্যাচ হয়ে ফেরেন গেইল। ৪৬ রানের ইনিংসটায় বল খেলেছেন ৪৪টি, গেইলের মানের সঙ্গে হয়তো যায় না। তবে ৬ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় গড়া ওই ইনিংসটিই বিপিএলে চলতি আসরে তার সর্বোচ্চ।
গেইল ফেরার পর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন টুর্নামেন্টজুড়েই দারুণ ধারাবাহিক রাইলি রুশো। পঞ্চম উইকেটে বেনি হাওয়েলকে নিয়ে গড়েন ৭০ রানের জুটি, যে জুটিতেই আসলে ঘুরে দাঁড়ায় রংপুর।
শেষ পর্যন্ত ৩১ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৪৪ রান করে মোহাম্মদ সাউফউদ্দিনের শিকার হন রুশো, ইনিংসের তখন মাত্র ৭ বল বাকি। তবে বেনি হাওয়েল তুলে নেন বিধ্বংসী এক হাফসেঞ্চুরি। ২৮ বলে ৩ চার আর ৫ ছক্কায় তিনি অপরাজিত থাকেন ৫৩ রানে।
জবাবে এভিন লুইসের ৫৩ বলে ৭১ রানের ঝড়ো ইনিংসে জয় পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। এছাড়াও এনামুল হক বিজয় ৩২ বলে ৩৯ এবং শামছুর রহমান ১৫ বলে ৩৪ রান করে দলের জয়ে অবদান রাখেন।