শুরুতেই এতে মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদসহ ওই সরকারের সকল নেতৃবৃন্দের স্মৃতির উদ্দেশে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে দেয়া রাষ্ট্রপতির ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন স্বাগত বক্তৃতায় বলেন, আমাদের কর্মে ও চিন্তায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য ধারণ করতে হবে। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠনের প্রেক্ষাপট, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালির গৌরবগাঁথা বিদেশি বন্ধুদের জানাতে নিজ নিজ ক্ষেত্রে আরো বেশি ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, এ সরকার গঠনের ফলেই বিদেশি বন্ধুরাষ্ট্রসমূহের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকৃতি দেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি সৃষ্টি হয়েছিল এবং পাকিস্তান ছেড়ে আসা বাংলাদেশের কূটনীতিকদের জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করা সহজ হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মিশনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জাতির পিতা, জাতীয় চারনেতাসহ মুজিবনগর সরকারের যে সকল সদস্য শহীদ হয়েছেন, পরলোকগমণ করেছেন তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শেষে দোয়া করা হয়।