স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনএফপিএ’র প্রতিনিধি ড. আসা টরকেলশন তার সাথে আজ সংসদ ভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হার হ্রাস, যুব উন্নয়ন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও জেন্ডার সমতা এবং নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি মানবসম্পদের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে ইতোমধ্যে সরকার কাজ শুরু করেছে। তৃণমূল পর্যায়ে ইয়ুথ ক্লাব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনসচেতনতা তথা জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির মাধ্যমে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে তিনি উল্লেখ করেন । স্পিকার বলেন, মাদকের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে যুব সমাজকে সচেতন করতে পারলে সমাজের অনাকাঙ্খিত সহিংসতা কমে আসবে।
নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, জয়িতার মত প্রতিষ্ঠান তৃণমূলে ছড়িয়ে দিলে নারী উদ্যাক্তাগণ উৎসাহিত হবেন। উৎপাদিত পণ্য জয়িতার মাধ্যমে বিপনণের সুযোগ পেলে নারী উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন সুদৃঢ় হবে।
স্পিকার বলেন, প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় এমপিদের মাধ্যমে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পার্লামেন্টরিয়ান অন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভলোপমেন্টের (বিএপিপিডি) আওতায় বাল্যবিবাহ রোধ, মাতৃমৃত্যু হ্রাস ও যুব উন্নয়নে জাতীয় সংসদ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, নারীদেরকে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত করতে পারলে প্রত্যেক নারী পারিবারিক ও সামাজিক কল্যাণে আরও মনোযোগী হতে পারবে।
ড. আসা টরকেলশন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও জেন্ডার সমতায় বাংলাদেশের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইউএনএফপিএ এর অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এসময় তিনি নারী ক্ষমতায়ন ও যুব উন্নয়নে স্পিকারের উদ্ভাবনী ধারনার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস, শিশুস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে।