মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে থেমেই ডোনাল্ড ট্রাম্প যেসব বিষয়ে পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার একটি ছিল ট্যাক্স ব্যবস্থাকে নতুন করে সাজানো। আর এবার সে লক্ষ্যে বেশকিছু নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এজন্য তিনি নতুন যে প্রস্তাব দিয়েছেন তার মধ্যে রয়েছে ধনী মার্কিনিদের আয়ের ওপর আরোপিত ট্যাক্স পাঁচ শতাংশ কমানো এবং কর্পোারেট ট্যাক্স ২০ শতাংশ কমানো।
এ বিষয়ে ট্রেজারি সেক্রেটারি স্টিভেন মুচিন বলেন, ‘ট্রাম্পের পরিকল্পনা রয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বড় অংকের ট্যাক্স কমানো। এছাড়া ট্যাক্স ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এবং সরলীকরণ করা হবে। ’
এছাড়া সম্প্রতি ট্রাম্প তিনটি নির্বাহী আদেশেও স্বাক্ষর করেছেন। এ আদেশ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডড-ফ্রাংক আইটি ছয় মাসের জন্য পর্যালোচনা। ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকটের সময় ট্রাম্পের পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আইনটি পাস করেন। ওয়াল স্ট্রিট সংস্কার ও গ্রাহক সুরক্ষা আইন হিসেবে পরিচিত বিধানকে ডড-ফ্রাংক ওয়াল স্ট্রিট-সংশ্লিষ্টরা আর্থিক খাতে অহেতুক নিয়ন্ত্রণ হিসেবে দেখে থাকে।
নির্বাহী আদেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এগুলো তার মার্কিন অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত ও দেশে কর্মসংস্থান ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার অংশ। এই পদক্ষেপ মার্কিন শ্রমিক ও করদাতাদের আরো সুরক্ষা দেবে। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রকে পুনর্গঠনের মধ্যে রয়েছি। দেশজুড়ে এখন একটি নতুন আশাবাদের জোয়ার রয়েছে, যা মানুষ বহু দশক ধরে দেখেনি। আমরা এই মহান অর্থনৈতিক পুনরুত্থানকে অব্যাহত রাখার জন্য কাজ করছি। ’ এদিকে কর বিশেষজ্ঞদের মতে, যেকোনো মৌলিক পরিবর্তনের মূল উপাদান ব্যবসার জন্য নির্দিষ্ট কর পরিত্রাণ।
আমরা আমাদের অর্থনীতিকে আরো সুষ্ঠ ও সবার জন্য সমৃদ্ধ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করছি বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের বিস্তৃত আর্থিক কৌশলের অংশ হিসেবে আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসা ও উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণের ব্যবস্থা করছি, যার মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নারী উদ্যোক্তারা, যারা তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো করছেন। ’ সবার জন্য ও দেশের সব অংশের জন্য সুযোগ সৃষ্টির আগ্রহের কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প।
অবশ্য রিয়েল এস্টেট খাতে ট্রাম্পের এ ট্যাক্স সংস্কার করা কঠিন হতে পারে। কারণ কর সংস্কারকে ট্রাম্প তার নিজস্ব ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখছেন বলে সমালোচনা হতে পারে।