এই সাবমেরিন টানা ২৫ বছর সমুদ্রের তলে থাকতে পারবে। আগামী বছর থেকে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর তৎপরতায় অংশ নেবে এই সাবমেরিন। এই সাবমেরিনকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে, ২০৪৩ সালের আগে আর কোনো ধরণের জ্বালানির প্রয়োজন পড়বে না।
ব্রিটিশ নৌবাহিনীর নতুন পরমাণু সাবমেরিন এইচএমএস অডিসাস এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। চলতি মাসেই সমুদ্রে নামানো হয় এই সাবমেরিন। ৯৭ মিটার লম্বা এবং ৭,৪০০ টন ওজনের সাবমেরিন এটি। ১ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতেও সক্ষম এইচএমএস অডিসাস।
এছাড়া এটি পানির নিচে দিয়ে হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিতে পারবে। সাবমেরিনের পরমাণু চুল্লি দিয়ে কোনও শহরের দু’লাখেরও বেশি বাসিন্দার যাবতীয় বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানো সম্ভব।
বছরের পর বছর এটি সমুদ্রের গভীরে অবস্থান করতে পারবে। সমুদ্রের জলকে পরিশোধন করে মিষ্টি জলের চাহিদা মেটাবে এটি। এছাড়া, পানিকে ভেঙে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন উৎপাদনের ব্যবস্থা রয়েছে এতে। পাশাপাশি, বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করে সাবমেরিনের ভেতর থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড সরিয়ে ফেলা হবে।
অবশ্য এতে যে পরিমাণ খাদ্য মজুদ থাকে তা দিয়ে সাধারণ অবস্থায় টানা তিন মাস অনায়াসে জীবন ধারণ করতে পারবে নৌ সেনারা। গোয়েন্দা তৎপরতা চালানো, শত্রুর জাহাজ বা সাবমেরিন ডুবিয়ে দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে একে। ব্রিটিশ নৌবাহিনীতে ভবিষ্যতে এরকম আরো সাতটি সাবমেরিন যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
print