ডিএমপি নিউজঃ যারা কক্সবাজার গিয়েছেন তারা একটি জিনিস লক্ষ্য করে থাকবেন যে, সৈকতের কাছাকাছি স্থানে লাল পতাকা ঝুলানো দন্ডায়মান কিছু দেখা যায়। এর মানে হল সমুদ্রে এখন ভাটা চলছে। তাই নামা যাবে না। কারন তখন সমুদ্রের পানি নেমে যায় এবং পানির স্রোত থাকে তীরের বিপরীত দিকে। পর্যটকেরা শুধুমাত্র জোয়ারের সময়ই সমুদ্রে নামার অনুমতি পেয়ে থাকে কারন তখন পানির স্রোত থাকে তীরের দিকে।
এই জোয়ার-ভাটার প্রধান কারন হল সূর্য ও চাঁদের প্রযুক্ত মহাকর্ষ বল এবং পৃথিবী আবর্তনের ফলে সৃষ্ট অপকেন্দ্রিক বা বিকর্ষন বল। পৃথিবীর উপর সূর্য অপেক্ষা চাঁদের আকর্ষণ বল বেশি কাজ করে। কারণ সূর্য অপেক্ষা চাঁদ নিকটে অবস্থিত।
চাঁদ ও পৃথিবীর ঘূর্ণনের ফলে পৃথিবীর যে পাশে চাঁদ থাকে সে পাশে অবস্থিত পানি বেশি ফুলে উঠে। একই সময়ে পৃথিবীর যে অংশ চাঁদের বিপরীত দিকে থাকে সে অংশে পানি নেমে যায়। আর এই পানি ফুলে উঠাকে বলা হয় জোয়ার এবং নেমে যাওয়াকে বলা হয় ভাটা।
আবার পৃথিবীর আবর্তন বা আহ্নিক গতির ফলে সমুদ্রের পানি নিদিষ্ট সময় পর পর এক জায়গায় ফুলে ওঠে আবার অন্য যায়গায় নেমে যায়।
কোন স্থানে জোয়ার সৃষ্টির প্রায় ৬ ঘন্টা ১৩ মিনিট পরে ভাটা সংঘটিত হয়ে থাকে। এ কারনে পৃথিবীর যেকোন স্থানে দুইবার জোয়ার এবং দুইবার ভাটা হয়।