অস্ত্র ছোঁড়াছুঁড়ি করে নয়, কথার মাধ্যমেই সমাধানের পথ বেছে নিল দু’দেশ। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে রাশিয়ার আহ্বান মেনে তাদেরই প্রস্তাবিত জায়গায় আলোচনায় বসতে রাজি হল ইউক্রেন Ukraine)। কিয়েভের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বেলারুশেই (Belarus) রাশিয়া-ইউক্রেন বৈঠক হবে। রবিবার সন্ধ্যায় এই খবর নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আর তারপরই বেলারুশের প্রধান লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি।
কবে, কখন বৈঠকে বসবেন পুতিন-জেলেনস্কি, তা অবশ্য জানা যায়নি এখনও। দু’দেশের যুদ্ধে এবার ইতি পড়তে চলেছে, এই আশায় বুক বাঁধছেন সকলে।
যুদ্ধের শুরুর দিকে রাশিয়ার (Russia)তরফে ইউক্রেনকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে তার জন্য বেশ কয়েকটি শর্ত মানতে হতো। যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত ছিল ইউক্রেন কখনও NATO’র সদস্য হওয়ার আবেদন জানাতে পারবে না। এছাড়া আরও বেশ কিছু শর্ত ইউক্রেনের উপর চাপিয়েছিল পুতিনের দেশ। যাতে রাজি হননি প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। এছাড়া বৈঠকের আলোচনাস্থল নিয়েও ইউক্রেনের আপত্তি ছিল। সীমান্তের বন্ধুদেশ বেলারুশে দু’দেশের আলোচনার প্রস্তাব মানতে রাজি ছিল না ইউক্রেন।
তবে যুদ্ধের চতুর্থদিনে রাশিয়ার শর্ত মেনে বেলারুশেই বৈঠকে রাজি হল ইউক্রেন। ‘কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ সূত্রে খবর, ইউক্রেন আলোচনায় বসার কথা নিশ্চিত করেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা, এএফপি সূত্রেও এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।