একটানা চেয়ারে বসে কাজ করা কিংবা ভারী জিনিস তুলতে গিয়ে পিঠে ব্যথার শিকার হন অনেকেই। ডাক্তারের কাছে তো যেতেই হবে। তবে তার আগে পরখ করে দেখা যেতে পারে কয়েকটা ঘরোয়া টোটকা।
ব্যথা থাক বা না থাক রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে ধীরে ধীরে পিঠকে একটু ‘স্ট্রেচ’ করবেন। এক্ষেত্রে যোগাসনের কোনো বিকল্প নেই। এমনটা করলে পিঠের পেশির জড়তা কমবে। কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
প্রয়োজনে একটা ‘রোলিং মাসাজার’ কিনে রাখতে পারেন। এতে শরীরের এই অংশে রক্তচলাচল বেড়ে যাবে। ফলে কমে যাবে যন্ত্রণা।
পিঠে ব্যথা হলেই একবার ঠাণ্ডা জলে আর একবার গরম জলে সেঁক দেবেন। এতে যন্ত্রণাও কমতে শুরু করবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম খুবই জরুরি। রাতে ব্যথা বাড়ে। তাই যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন।
খুশি মনে হাসতে হবে। জোরে হাসলে এন্ডোরফিন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পাবে। ফলে পিঠের ব্যথা কমবে।
নিজের ওপরে মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন। শুনতে আশ্চর্য মনে হলেও এটা সত্যি যে মানসিক চাপের কারণেও পিঠের যন্ত্রণা বাড়তে পারে। যত মানসিক চাপ বাড়বে, তত পেশি শক্ত হতে থাকবে। ফলে বাড়বে যন্ত্রণা।
ব্যথা হলেই পিঠে ভেষজ তেল দিয়ে মালিশ করান। এতে পিঠে রক্ত চলাচল বাড়বে। ব্যথা কমতে থাকবে।
হালকা শরীরচর্চা করুন। তবে কোনো পরিস্থিতেই ওজন তোলার চেষ্টা করবেন না। রোজ হালকা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করলে পিঠের ব্যথা হওয়ার চান্স একেবারেই কমে যাবে।