প্রাইমারি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে ও এই শিক্ষার মানোন্নয়নের অংশ হিসেবে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এক লাখ ৬৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ ও পদায়ন করতে। এছাড়া প্রশিক্ষণ দেয়া হবে আরো তিন লাখ শিক্ষককে। তাই আগামী পাঁচ বছরের জন্য চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রকল্পটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে। চলতি বছর থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত এটি বাস্তবায়িত হবে। বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা, ইইউ, ডিএফআইডি, অস্ট্রেলিয়ান এইড, কানাডিয়ান সিডা, সুইডিশ সিডা ও ইউনিসেফ ঋণ সহায়তা দেবে এই প্রকল্পে।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার (২২ মে) অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পসহ মোট ১৬ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি ৩১ হাজার ৮৪৮.৫৭ কোটি টাকা। প্রকল্প সাহায্য ১২ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানান, প্রকল্পের আওতায় প্রি- প্রাইমারি এবং প্রথম হতে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বর্তমান পাঠ্যসূচির সংশোধন, সব বিদ্যালয়ে যোগ্যতাভিত্তিক টিচিং লারনিং শিক্ষা উপকরণ প্রদান ও নির্দিষ্ট সময়ে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করা হবে।
তিনি আরও জানান, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে এক লাখ ৬৫ হাজার ১৭৪ জন শিক্ষক নিয়োগ ও পদায়ন করা হবে। এক লাখ ৩৯ হাজার ১৭৪ শিক্ষকের ডিপ-ইন এড প্রশিক্ষণ প্রদান, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও প্রতি শিক্ষকের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান, ৫৫ হাজার শিক্ষকদের ইনডাকশন/প্রাতিষ্ঠানিক/বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ প্রদান, ১৭শ শিক্ষকের এক বছর মেয়াদে সাব ক্লাস্টার প্রশিক্ষণ, ২০ হাজার শিক্ষকের এক বছর মেয়াদে আইসিটি ট্রেনিং, ৬৫ হাজার শিক্ষকের লিডারশিপ ট্রেনিং; ২৫৯০ সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা/উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষকের বৈদেশিক প্রশিক্ষণ।
এর বাইরে এক লাখ ৩০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকদের ব্রিটিশ কাউন্সিলের (সিঙ্গেল সোর্স) মাধ্যমে ইংরেজি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।