বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও সমুদ্র পথে চলাচলকারী নৌযান ও জাহাজের নাবিকরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সেবা পাবেন বলে নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, এই সেবার মাধ্যমে নদী ও সমুদ্র পথে চলাচলকারী জাহাজের অবস্থান ও গতিবিধি ছাড়াও আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানা যাবে।
রোববার বিকালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএসসিএল) মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
নৌমন্ত্রী ছাড়াও ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ এবং বিসিএসসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম চুক্তিতে সই করেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রী বলেন, “প্রথম আমাদের সঙ্গে চুক্তি হওয়ায় গর্ববোধ করছি। এর মাধ্যমে নদী ও সমুদ্রে চলাচলকারী হাজার হাজার জাহাজের অবস্থান ও গতিবিধি জানা যাবে।”
এই সমঝোতা চুক্তির আওতায় বিসিএসসিএল নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার অধীন বন্দর, ফেরী ঘাট, জাহাজ ও অন্যান্য স্থাপনায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ থেকে প্রয়োজনীয় সেবা দেবে বলে বক্তারা জানান।
তাদের দেওয়া তথ্য মতে, বাংলাদেশের সমুদ্র ও স্থানীয় নদী চ্যানেলগুলোতে থাকা জাহাজগুলো স্থলভাগের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ, দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা গ্রহণ ও টেলিভিশন প্রদর্শন করতে পারবে। এছাড়াও বিভিন্ন নৌ-বন্দর ও বাতিঘরেও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ এর মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ সেবা দেওয়া হবে।
সচিব আবদুস সামাদ বলেন, “আমাদের অভ্যন্তরীণ নৌপথে বছরে প্রায় ৩৫ হাজার এবং সমুদ্রপথে ৪ হাজার জাহাজ চলাচল করে। বাংলাদেশের নাগরিকদের মালিকানাধীন ৬০টি জাহাজ সমুদ্রপথে চলাচল করে।”
গত ১২ মে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বাংলাদেশের প্রথম যোগাযোগ উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ হয়। ২৩ মে স্যাটেলাইটটি তার জন্য নির্দিষ্ট ১১৯.১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশের জিওস্টেশনারি স্লটে পৌঁছায়।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ এ মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার রয়েছে। এর মধ্যে ২৬টি কেইউ-ব্যান্ড ও ১৪টি সি-ব্যান্ডের।