প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীমা খাতে কর্পোরেট গভর্ন্যান্সের বাস্তবায়ন, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার এবং পুঁজিবাজারে বীমা খাতের অবদান বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আগামী ১৫ বছরে একশ’টি ইপিজেড ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন করে বীমা শিল্পের চাহিদা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বীমা মেলা উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এ আহবান জানান। বীমা শিল্পের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে আগামীকাল সিলেটে ‘বীমা মেলা-২০১৭’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে । এ উপলক্ষে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। কৃষিবীমা, স্বাস্থ্যবীমা, শিক্ষাবীমা এবং প্রবাসী কর্মীদের জন্য বীমা পরিকল্পনা প্রণয়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সামাজিক বীমা পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং এর আওতা ও পরিধি সম্প্রসারণের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে সরকার এটিকে সার্বজনীন পেনশন কর্মসূচি হিসেবে রূপায়ন করবে। ২০২১ সালে সারাদেশে এই স্কিম চালু করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতিতে বীমার অবদান বৃদ্ধির জন্য উদ্ভাবনী ও গবেষণামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। বীমা শিল্পে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে অতি সহজে বীমা গ্রাহক বীমা পলিসি গ্রহণ করার পাশাপাশি বীমাকারী দ্রুততা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে দাবি নিষ্পত্তি করতে পারে। আমরা এ শিল্পে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে কাজ করছি।’
জনগণের জীবন এবং সম্পদের ব্যবস্থাপনায় আর্থিক সুরক্ষার মাধ্যম হিসেবে বীমার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বীমা শিল্পের গুরুত্ব অনুধাবন করে ২০১০ সালে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন প্রণয়ন করে এবং ২০১১ সালে কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করে। বীমা আইন ২০১০ প্রণয়ন করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ‘জাতীয় বীমা নীতি-২০১৪’ প্রণয়ন করেছি। সরকারের জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল : বাংলাদেশ ২০১৫-এ মানুষের নিরাপত্তা, বার্ধক্যকালীন ঝুঁকি, অক্ষমতা, সামাজিক অবহেলা, বেকারত্ব এবং মাতৃত্বকালীন ঝুঁকির ক্ষেত্রে সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে একটি সামাজিক বীমা ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে।’