পবিত্র রমজান মাসের শুরুতেই রক্তাক্ত ইরাকের বাগদাদ। জোড়া বিস্ফোরণে বাগদাদে মৃত্যু হল কমপক্ষে ২৭ জনের। জখম কমপক্ষে ১০০ জন। মঙ্গলবার এ খবর জানিয়েছেন বাগদাদের নিরাপত্তাকর্মী এবং চিকিৎসকরা। প্রথম বিস্ফোরণের দায় নিয়েছে আইএস। দ্বিতীয়টিতেও সন্দেহের তীর তাদের দিকেই।
বাগদাদে প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে সোমবার রাতে শিয়া অধ্যুষিত এলাকার একটি আইসক্রিম পার্লারে। পার্লার সংলগ্ন একটি রেস্তোরাঁয় রমজানের ইফতার করছিলেন সাধারণ মানুষ। সে সময় পার্লারের সামনে পার্কিং লটে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয় এক আত্মঘাতী জঙ্গি। মারা যান ১৬ জন। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথম বিস্ফোরণের সময়ের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে বিস্ফোরণের পর মাটিতে রক্তাক্ত দেহ ছড়িয়ে রয়েছে। রেস্তারাঁয় বসে খাবার মুখে তোলার সময়েই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের শব্দে ঘটনাস্থলে হাজির আতঙ্কিত মানুষজন এদিক ওদিক ছুটতে শুরু করেন। বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ আগেই আইসক্রিম খেতে এসেছিল একটি শিশুকন্যা। পার্লারের বেঞ্চের ওপর দাঁড়িয়ে ধ্বংসস্তূপের দিকে তাকিয়ে রয়েছে সে।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর অন্যতম সেতুর কাছে গাড়িবোমা বিস্ফোরণ হলে সেখানে মৃত্যু হয় ১১ জনের। প্রথম বিস্ফোরণের দায় নিজেদের ওয়েবসাইট ‘আমাক’–এ স্বীকার করে বিবৃতি দিয়ে আইএস জানিয়েছে আত্মঘাতী জঙ্গি ছিল একজন ইরাকিই। মসুল থেকে তাদের হটানোর ইরাক সরকারের চেষ্টার বদলা নিতেই বিস্ফোরণ বলে বিবৃতিতে দাবি করেছে আইএস। দ্বিতীয় বিস্ফোরণের দায় অবশ্য এখনও স্বীকার করেনি কোনো জঙ্গি গোষ্ঠী।