মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল-আযহা বা কোরবানির ঈদ সন্নীকটে। বেশি দিন দেরি নেই কোরবানির ঈদের। এরই মধ্যে পশু খামারীরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ঈদে ভালে মানের পশু হাটে উঠাতে।রোববার প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় দেশে এখন এক কোটি ১৬ লাখ ‘কোরবানিযোগ্য’ গবাদি পশু রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোরবানিযোগ্য এসব গবাদিপশুর মধ্যে ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার গরু ও মহিষ এবং ৭১ লাখ ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। গত বছর ঈদের আগে দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু ছিল এক কোটি চার লাখ ২২ হাজার।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, সারা বছরে দেশে প্রায় দুই কোটি ৩১ লাখ ১৩ হাজার গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া জবাই করা হয়। আর এর অর্ধেকই জবাই হয় কোরবানির ঈদে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, গবাদিপশুর খামারগুলোতে ‘স্বাস্থ্যহানিকর রাসায়নিক দ্রব্যের’ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে এবারও পদক্ষেপ নিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
প্রাণিস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর স্টেরয়েড ও হরমোন জাতীয় ওষুধের বিক্রি, সরবরাহ বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদারকি ছাড়াও জেলা ও উপজেলা প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে।
১২ আগস্ট জিলহজ মাসের চাঁদ উঠলে ২২ আগস্ট বাংলাদেশে কোরবানির ঈদ উদযাপন হবে। আর এবার চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সরকার কোরবানির ঈদের ছুটি রেখেছে ২১ থেকে ২৩ আগস্ট।