ডিএমপি নিউজ : ঝিলমিল ও পূর্বাচলে প্লট দেয়ার আশ্বাস দিয়ে এক নারীর সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে তার প্রায় ৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাজউকের এক কর্মচারীকে গ্রেফতার গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের ফাইন্যানসিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম দেবাশীষ কুমার সাহা। এসময় তার হেফাজত থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, বিপিএম-সেবা ডিএমপি নিউজকে বলেন, ভুক্তভোগী নারীর বাবা-মা অসুস্থ থাকার সময় তাদের জমিজমা ও সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি রাজধানীর রাজউকে যাতায়াত করতেন। এসময় ঐ নারীর সাথে রাজউকের কর্মচারী দেবাশীষের পরিচয় হয়। পরবর্তীতৈ ঐ নারীর বাবা মারা যাওয়ার পর তার সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে দেবাশীষ। পরবর্তীতে দেবাশীষ ভুক্তভোগী নারীকে রাজধানীর ঝিলমিল এবং পূর্বাচলে প্লট দেয়ার আশ্বাস দেয়। ঐ নারী তার ২টি ফ্লাট বিক্রির দুই কোটি ৬০ লক্ষ টাকা, ১৫০ ভরি স্বর্ণ বিক্রির এক কোটি ২০ লক্ষ টাকা, একটি প্লট বিক্রয় বাবদ দুই কোটি ১০ লক্ষ টাকা, সঞ্চয়পত্র বিক্রয় বাবদ ৫০ লক্ষ টাকা, প্রাইভেটকার বিক্রির ১০ লক্ষ টাকাসহ বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট আট কোটি ৮০ লক্ষ টাকা দেবাশীষকে প্রদান করেন।
তিনি বলেন, ভুক্তভোগী নারী পরবর্তীতে তার প্লট বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বললে টালবাহানা শুরু করে দেবাশীষ। টাকা ফেরত চাইলে দেবাশীষ তা ফেরত দিতে অস্বীকার করে। এরই এক পর্যায়ে দেবাশীষ ভুক্তভোগী নারীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে রামপুরা থানায় মামলা দায়ের করে।
তিনি আরো বলেন, মামলা দায়ের করার পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দেবাশীষের অবস্থান শনাক্ত করে গত মঙ্গলবার রাজধানীর রামপুরা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
এরকম প্রতারণা এড়াতে গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের পরামর্শ :
১. বন্ধুত্ব করার ক্ষেত্রে পরিচয় যাচাই করা।
২. অপরিচিত কারো প্রলোভনে আকৃষ্ট হওয়া থেকে বিরত থাকা।
৩. কোন পরিচিত ব্যবহারে সম্পর্ক করতে সতর্ক থাকা।