ডিএমপি নিউজ: তামাক, মাদক আমাদের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করছে। এই তামাক থেকে আমাদের যে রাজস্ব আদায় হচ্ছে, আমাদের ক্ষতির পরিমাণ তার থেকে অনেক বেশি।
আজ বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আবুল কালাম আজাদ, ব্যাপস্থাপনা পরিচালক, বাসস এবং সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানস-এর সভাপতি অধ্যাপক ড. অরুপরতন চৌধুরী।
এবারের তামাক মুক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়- তামাক সমাজ ও দেশের উন্নতির জন্য প্রতিবন্ধক।
এ সময় কমিশনার বলেন, এবারের পহেলা বৈশাখের সকল অনুষ্ঠানে আমরা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ধূমপান বন্ধ করেছিলাম। সন্মানিত নগরবাসীকে ধন্যবাদ জানাই কারন তারা আমাদের বিজ্ঞপ্তিতে সাড়া দিয়ে ধূমপানমুক্ত হয়ে অনুষ্ঠান পালন করেছে।
শুধুমাত্র আইন করে, ট্যাক্স বৃদ্ধি করে মাদকের ব্যবহার বন্ধ করা যাবে না জানিয়ে কমিশনার বলেন, এজন্য চাই জনসচেতনতা, চাই কাউন্সেলিং, চাই মোটিভেশন। আমরা তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানমুক্ত রাখতে একটি কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে পারি।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাদক এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির ওপর ভর করে ইতিমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মাদক নির্মূলে বিভিন্ন কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে।
মাদক নির্মূলে পুলিশের বিভিন্ন উদ্যেগের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে উত্তরা, লালবাগ, গুলশান ও ওয়ারীতে জনসচেতনামূলক সমাবেশের আয়োজন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
তিনি আরো বলেন, আমাদের এই আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে রমজানের ঈদের পরে আমরা সমগ্র ঢাকা শহরে ধূমপান, মাদক সন্ত্রাসবিরোধী জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম আরো এগিয়ে নিয়ে যাবো।
মাদককে সামাজিক ব্যাধি হিসেবে উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, এটি আমাদের তরুণ প্রজন্মকে, জাতিকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে, ফলে কর্মক্ষম জনশক্তি ধীরে ধীরে কমে আসছে।
তিনি বলেন, আমরা ঢাকা মহানগরের প্রত্যেকটি থানা এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের নামের তালিকা তৈরী করেছি। আমরা সবাই মিলে তাদের বয়কট করব। তাদের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র আইন করে নয়, সামাজিকভাবে তাদেরকে বয়কট করার আন্দোলন করব। আমাদের জাতিকে বাঁচাতে আমরা সর্বস্তরের জনগনকে সাথে নিয়ে এই সামাজিক আন্দোলন শুরু করেছি। আমরা সবাই যদি একসাথে সোচ্চার হয়ে কাজ করি তবে আমাদের এই জাতীয় সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হব।