প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পর্যটন অনেক বড় একটি ক্ষেত্র যেখানে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে দেখার মতো অনেক কিছুই আছে। আমাদের আছে কক্সবাজার, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, আছে সুন্দরবন, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিলেটের চা বাগান, চট্র্রগ্রামের পাহাড় পর্বতসহ অনেক কিছু। আপনারা ঢাকায় এসেছেন এসব উপভোগ করবেন। আপনাদের যেন কোনো অসুবিধা না হয় সেজন্য সব ব্যবস্থা করা আছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে সোনারগাঁও হোটেলে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) দেশগুলোর পর্যটন মন্ত্রীদের সম্মেলন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওআইসিভুক্ত দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে অর্থনৈতিক খাত হিসেবে উন্নত করতে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী এবং এর উপরে আমরা জোর দিয়েছি এবং বিভিন্ন কর্মসূচিও আমরা হাতে নিয়েছি। পর্যটনের টেকসই উন্নয়নের জন্য আমরা জাতীয় পর্যটন নীতি ২০১০ প্রণয়ন করেছি।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় শিল্প নীতি ২০১০-এ পর্যটন শিল্পকে দ্রুত বর্ধনশীল খাত হিসেবে আমরা চিহ্নিত করেছি। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য পর্যটন উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক গতিশীলতা বৃদ্ধি। আমি মনে করি, এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিপাদ্য। যা প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে পারষ্পারিক সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখবে। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পর্যটনসহ অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা অপরিহার্য।
ওআইসিভুক্ত ৫১টি দেশের মধ্যে ২৫টি দেশের ১০ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ৮৫ জন প্রতিনিধি এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। সম্মেলনে ইসলামি হেরিটেজ ও কালচার, রিলিজিয়াস ট্যুরিজম ও হালাল ট্যুরিজ এবং টেকসই উন্নয়নে পর্যটনের ভূমিকা বিষয়ক বিভিন্ন রাউন্ড টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার ঢাকা ঘোষণা ও টেকনিক্যাল ট্যুরের মধ্যদিয়ে এ সম্মেলন শেষ হবে।