স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বাণিজ্যের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জন একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ আর এক্ষেত্রে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। বৈশ্বিক বাণিজ্যে বিরাজমান অসমতা ও বৈষম্য নিরসনে অন্তর্ভূক্তিমূলক অবাধ বাণিজ্যনীতি প্রণয়নের উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। সোমবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ১৩৯তম ইন্টার পার্লামেন্টারী ইউনিয়ন (আইপিইউ) এসেম্বলি’র ‘স্টান্ডিং কমিটি অন সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট, ফিন্যান্স এন্ড ট্রেড’ শীর্ষক ডিবেটে তিনি এসব কথা বলেন।
স্টান্ডিং কমিটি ব্যুরো’র সদস্য সিলভিয়া ডিনিকা’র সভাপতিত্বে ডিবেটে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, সংসদ সদস্য- মো. আব্দুল কুদ্দুস, এবি তাজুল ইসলাম, মমতাজ বেগম, কে.এইচ আজিজুল হক, আশেক উল্লাহ রফিক, মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম চৌধুরী এবং শামীম হায়দার পাটোয়ারী উপস্থিত ছিলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন বলেন, দরিদ্র, প্রন্তিক ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দিয়ে তাদের কার্যকর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বাণিজ্য নীতি তৈরী করতে হবে, যাতে করে ন্যায্য মজুরী ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি নিশ্চিত হয়। তিনি আরও বলেন, ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য অবাধ বাণিজ্য জরুরী, যার মাধ্যমে স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহ উপকৃত হবে এবং পরিবর্তনের সুবিধা দরিদ্র জনগোষ্ঠী ভোগ করতে পারবে।
স্পিকার বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এসডিজি’র ক্ষেত্রেও এ সকল উপাদান কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।