মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের কারণে দেশটির সঙ্গে সামরিক চুক্তিসহ সব ধরনের সামরিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে দেয়া ভাষণে এ কথা জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।
যতদিন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধ না হবে ততদিন সব ধরনের যৌথ সামরিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর অভিযান চালানোর পর থেকে থেরেসা মে এ বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রেখেছিলেন। তিনি বলেন, ‘বার্মায় (বর্তমান মিয়ানমার) রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর যা হচ্ছে তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। তাদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। আমরা দেখেছি বহু বিপন্ন মানুষ জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যাচ্ছে। অং সান সু চি ও বার্মার সরকারকে স্পষ্ট করা দরকার, সেনা বাহিনীর অভিযান বন্ধ হবে।
যুক্তরাজ্যের এ সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘ব্রিটিশ সরকার আজ ঘোষণা করছে যে, এই ইস্যুর সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আমরা বার্মার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সব প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন এবং প্রশিক্ষণ বন্ধ করতে যাচ্ছি।’আন্তর্জাতিক মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সমন্বয় করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মে বলেন, ‘স্পষ্টভাবেই আন্তর্জাতিক অঙ্গন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ইস্যুতে এবং তাদের ওপর যা হচ্ছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।’
থেরেসা মে বলেন, ‘আমি, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে কথা বলেছি। ব্রিটিশ সরকার মনে করে, আমাদের অবশ্যই উদ্বিগ্ন হওয়া দরকার।’গত ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের পর থেকে প্রাণ বাঁচাতে চার থেকে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া অভিযানে সহস্রাধিক প্রাণহানি হয়েছে বলে জানা গেছে।