ডিএমপি নিউজঃ অভিনব কায়দায় বিভিন্ন রাইড শেয়ারিং কোম্পানির সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতারণা করে আসছিল প্রতারক চক্রটি। এই চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি’র সাইবার পুলিশ সেন্টার।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোঃ আবুল হোসেন (৩৯), মোঃ খোকন (৩৯), মোঃ রিপন (৩১), মোঃ তোফাজ্জল হোসেন তপু (৩১), মোঃ আজম সরকার (২৯) ও আব্দুল্লাহ আল আমান ওরফে ডলার (২৯)।
সিআইডি সূত্র জানায়, প্রতারক চক্রের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে কাজ ভাগ করে নিতেন। কিছু সদস্য বিভিন্ন ড্রাইভারকে রাইড শেয়ারিং কোম্পানি থেকে শীতবস্ত্র প্রদানের কথা বলে, কখনো সরকার থেকে ফ্রি সিএনজি দেয়ার কথা বলে গাড়ির কাগজ, এনআইডি কার্ডের কপিসহ অন্যান্য কাগজপত্র সংগ্রহ করতেন। এই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তারা তুলে দিতেন চক্রের অন্য সদস্যদের হাতে যারা রাইড শেয়ারিং কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে ড্রাইভার একাউন্ট খুলে দিতেন। কাগজপত্র বিভিন্ন ড্রাইভারদের হলেও কোম্পানির সাথে যোগাযোগ, রাইড শেয়ারিং এর কমিশন বা আর্থিক লেনদের জন্য প্রতারক চক্রটি নিজেরাই ভুয়া রেজিস্ট্রেশনকৃত মোবাইল ফোন নাম্বার সরবারহ করতেন। আর্থিক লেনদেনের জন্য ভুয়া রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খোলা এবং লেনদেনে সহযোগিতা করার জন্য এই চক্রের সাথে জড়িত আছে বিকাশের এজেন্ট। রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলো প্রায়শই রাইডে ডিসকাউন্ড দেয়। কোন ড্রাইভার প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখ্যক ট্রিপ দেয়ার পরেও যদি একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আয় করতে না পারে সেক্ষেত্রে বাকী টাকা কোম্পানির পক্ষ থেকে ড্রাইভারদের বিকাশ একাউন্টে পাঠিয়ে দেয়ার অফার দেয়। এই সময়ই সক্রিয় হতো প্রতারক চক্রটি। প্রতারক চক্রের সদস্যরা প্রযুক্তির মাধ্যমে ফেক অ্যাপস ব্যবহার করে রাইড দেখিয়ে রাইড শেয়ারিং কোম্পানির কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।
সম্প্রতি ওভাই সলিউশন্স লিমিটেডের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা রুজু হলে সাইবার পুলিশ সেন্টারের একটি টিম গত ২৪ নভেম্বর ও ২৫ নভেম্বর চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২৭ নভেম্বর ২ জন ও ৯ ডিসেম্বর প্রতারক চক্রের আরো ২ সদস্যসহ মোট ৬ প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়।
প্রতারক চক্রের সদস্যরা ওভাই রাইড শেয়ারিং কোম্পানিতে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে ৯০টি সিএনজি অটোরিকশা রেজিস্ট্রেশন করিয়ে পনের লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রতারক চক্রের সঙ্গে অন্য কোন সদস্য জড়িত আছে কিনা এ ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত আছে।