মিয়ানমান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের দুটি শিবিরে আশ্রয় নেয়া প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জীবন রক্ষাকারী সামগ্রী সরবরাহ জোরদার করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)।
শুক্রবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান এনড্রিজ ম্যাহিসিস জানান, বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে বর্ষা মৌসুমে বিপুলসংখ্যক শরণার্থীর ন্যূনতম সুরক্ষায় তারা প্লাস্টিকের সিট বিতরণও তরান্বিত করেছেন। এ লক্ষ্যে নতুন আগত শরণার্থীদের জন্য ইউএনএইচসিআর এর সাইট প্ল্যানাররা কতৃপক্ষের বরাদ্দ ২ হাজার একর জমির ওপর তাঁবুর ব্যবস্থা করতে সাহায্য করছে। কয়েক দশক ধরে আগত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় ক্যাম্প হিসেবে পরিচিত কুতুপালং ক্যাম্প এর বর্ধিত অংশ নতুন ক্যাম্প হিসেবে পরিচিত। বর্ধিতাংশ ক্যাম্পটি ইউএনএইচসিআর এর সহায়তায় সরকার কর্তৃক পরিচালিত।
ম্যাহিসিস বলেন, শনিবার থেকে আমরা রোহিঙ্গা নেতাদের মাধ্যমে নির্ধারিত সাড়ে ৩ হাজার পরিবারের মাঝে পরিকল্পনা অনুযায়ী রান্নাঘরের সামগ্রী, ঘুমানোর ম্যাট, সোলার ল্যাম্প ও অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ শুরু করেছি। রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবী এবং ঠিকাদাররা নতুন আসা শরণার্থীদের জরুরি আশ্রয়ে সহায়তা করছে তবে সাইট প্ল্যানের জন্য পর্যাপ্ত সেনিটেশন এবং পানি উঠতে না পারে এমন উঁচু ও সমতল ভূমির সুবিধা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ইউএনএইচসিআর এর মতে, গত সাড়ে ৩ সপ্তাহে মিয়ানমার থেকে আসা অনেক রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিবারই কুতুপালং ও নয়াপড়া এই দুই শিবিরে বা স্কুল অথবা বিভিন্ন সরকারি ভবনে আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি আরো জানান, শরণার্থী বিষয়ক দূত ফিলিপ গ্রান্ডি সঙ্কটের মাত্রা প্রাথমিক উপলব্ধি, শরণার্থীদের সঙ্গে স্বাক্ষাত এবং ইউএনএইচসিআর এর অব্যাহত সহায়তা কার্যক্রম তদারকি করতে বাংলাদেশে যাবেন।